প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে সুবীর নন্দীকে
২৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:০৯
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তাকে এয়ার এম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব ঠিক থাকলে সোমবার সন্ধ্যায় সুবীর নন্দীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হবে সিঙ্গাপুর।
এরআগে গত ১৪ এপ্রিল শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সুবীর নন্দীকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএএইচ) ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরে পুনরায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। ৩-৪ মিনিটের চেষ্টার পরে হৃদযন্ত্র সচল হলে নন্দিত এই সংগীতশিল্পীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর থেকে সুবীর নন্দী সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।
আরও পড়ুন: সুবীর নন্দীর কাগজপত্র সিঙ্গাপুর পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্র দিয়ে প্লেব্যাক ক্যারিয়ার শুরু সুবীর নন্দীর। পরে সহস্রাধিক চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। ১৯৮১ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’। এরপর একে একে প্রকাশিত হতে থাকে ‘প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘ভালোবাসা কখনো মরে না’, ‘সুরের ভুবনে’, ‘গানের সুরে আমায় পাবে’, ‘প্রণামাঞ্জলী’ শিরোনামে তার একক অ্যালবাম। প্রতিটি অ্যালবামই শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। তবে সুবীর নন্দীর প্রথম গান রেডিওতে, সিলেট বেতারে ১৯৬৭ সালে। ঢাকা বেতারে তার প্রথম গান ১৯৭০ সালে—‘যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়’।
সুবীর নন্দী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চার বার। বাচসাস পুরস্কারও পেয়েছেন চার বার। গানে অবদান রাখায় এ বছর তাকে ভূষিত করা হয়েছে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে।
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায় সুবীর নন্দীর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর। বাবা চাকরি করতেন চা বাগানে। ছোটবেলা কেটেছে সেখানেই। ছোটবেলাতেই মা পুতুল রানীর কাছে গানে হাতেখড়ি। পরে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে।
সারাবাংলা/এনআর/পিএম/এমএনএইচ