দেখে মনে হবে ‘মিশন এক্সট্রিম’ কোনো বিদেশি সিনেমা
২৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:০৮
অনেকটা গোপনে দৃশ্যায়নের কাজ শুরু হয় ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবির। তবে ইচ্ছা থাকলেও শুটিং চলাকালিন সময়ের ছবি ও খবরাখবর কোথাও জানাননি সংশ্লিষ্টরা। সেজন্য টানা একমাস শুটিং শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ছবির পুরো ইউনিট। উদ্দেশ্য সিনেমার সম্পর্কি তথ্য ও কলাকুশলীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া।
ছবির অন্যতম পরিচালক সানি সানোয়ার বলেন, ‘বিভিন্ন কৌশলগত কারণে শুটিংয়ের কোন তথ্য সাংবাদিকদের জানানো হয়নি। এতে করে আমরা খুব মনোযোগ দিয়ে কাজটি করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে ছবির ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। “মিশন এক্সট্রিম” পূর্বের “ঢাকা অ্যাটাক” ছবির মতো একই ঘরানার। এটিও পুলিশ অ্যকশনধর্মী ছবি। এই ছবিটি যখন দেখবেন তখন মনে হবে এটি কোন বিদেশি সিনেমা। আমরা চেষ্টা করেছি অল্প বাজেটে ভালোমানের একটি ছবি নির্মাণ করতে। ছবিতে প্রচুর অ্যাকশন দৃশ্য থাকছে।’
এসময় তিনি আরিফিন শুভর প্রশংসা করে বলেন, ‘ছবির জন্য আরিফিন শুভর ডেডিকেশন প্রশংসনীয়। তিনি ছবির জন্য নিজেকে যেভাবে প্রস্তুত করেছেন তা সত্যিই অসাধারণ লেগেছে।’
এছাড়া তিনি জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, তাসকিন রহমান, সাদিয়া নাবিলাসহ অন্যান্য শিল্পীদের ছবিতে নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন।
এদিকে আরিফিন শুভ বলেন, ‘নায়ক, নায়িকা কিংবা ভিলেনের ছবি নয় “মিশন এক্সট্রিম”। এর প্রতিটি চরিত্র সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা যেকোনো চরিত্রই হোক। এখানে প্রধান চরিত্র বলে কোনো কথা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এর আগে এ ধরণের কাজ করিনি। এত সংখ্যক লম্বা লিস্টের জনপ্রিয় শিল্পীদের নিয়ে কাজ হয়নি। আমিসহ পুরো ইউনিট চেষ্টা করেছে প্রত্যেকেই একেবারে সেরা যোগ্যতা দিয়ে কাজ করার জন্য। এরপরেও ‘মিশন এক্সট্রিম’ সফল কিংবা ব্যর্থ হলে আমার খুব একটা কষ্ট লাগবে না। কারণ আমরা সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আর এটাই আমার সফলতা।’
এদিকে বাংলাদেশ পর্বের শুটিং শেষে এবার ছবির ইউনিট উড়াল দেবে বিদেশে। কপ ক্রিয়েশনের ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সানী সানোয়ার। যৌথ পরিচালক হিসেবে আছেন ফয়সাল আহমেদ।
ছবি: আশীষ সেনগুপ্ত
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী তাসকিন রকমান নাবিলা মিশন এক্সট্রিম সানী সানোয়ার