চাইনি কেউ আমার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করুক: শ্রাবন্তী
৩০ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:৪৩
দিন কয়েক হলো নতুন করে গাঁটছাড়া বেঁধেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী। তার বিয়ে নিয়ে সরব ছিল দুই বাংলার সংবাদ মাধ্যমগুলো। কিন্তু শ্রাবন্তী সেসব খবরে কান দেননি। পাত্তা দেননি কোনো সমালোচনা। এমনকি বিয়ে নিয়ে কথা বলেননি সাংবাদিকদের সঙ্গেও। কিন্তু কেনো? কলকাতা টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী নিজেই জানালেন এই প্রশ্নের উত্তর। সেই সাথে বলেছেন নিজের বিশ্বাস, ভালোলাগার কিছু অব্যক্ত কথা। সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ।
গোপণে বিয়ে করলেন, কারণ?
নজর লেগে যাবে তাই (হাসি)। কলকাতায় আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। আমি চাইনি কেউ আমার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করুক। আমি জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করি। আমার জ্যোতিষী কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, বাঙালি রীতিতে আগুনের সামনে বসে বিয়ে না করতে। সেকারণে, আমি বিয়েতে পাঞ্জাবী রীতি অনুসরণ করেছি মাত্র ৫০ জন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়র সামনে। আমি আমার বিয়ে নিয়ে অনেক নেতিবাচক খবর পড়েছি। যা আমাকে বিব্রত করেছে। আমি এখন শান্তি চাই।
কবে বিয়ে করলেন?
টাঙরার একটি রেস্তোঁরাতে ১৫ এপ্রিলে। সেদিন পয়লা বৈশাখ ছিল। মেহেদী ও গায়ে হলুদ হয় অমৃতসারে। আমরা সামাজিকভাবে বিয়ে করি ১৯ এপ্রিল সকালে। আমি জন্ম কিন্তু অমৃতসারে। এটা খুব অল্প মানুষ জানেন। এখানে আমার ভাগ্য সহায় হয়। সেজন্য আমি এখানে বিয়ে করেছি।
কোথায় বিয়ে করলেন?
রোশানের (শ্রাবন্তীর স্বামী) ভাই পুরো বিয়ের আয়োজনটি করেছেন। আমরা শুধু আর্থিক দিক সামলেছি। একটি বাসা ভাড়া করা হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য।
বিয়েতে কোন শাড়ি পরবেন—এই সিদ্ধান্ত কে দিয়েছিলেন?
এটা আমার বিয়ে। সুতরাং কে সিদ্ধান্ত দেবে বলুন? বিয়ে নিবন্ধনের দিন সিলভার গাউন পরেছিলাম। বিয়ের আগের দিন সবুজ ও হলুদ লেহেঙ্গা পড়েছি। সোমা দি ছিলেন আমার কেশসজ্জার দায়িত্বে। তিনি চুলে বিভিন্ন রকমের ফুল ব্যবহার করেছেন। বিয়ের দিন আমি সব লাল পোশাক পরেছিলাম। আর বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় সাদা ও গোলাপী লেহেঙ্গা।
অতিথিদের কিভাবে আপ্যায়ন করলেন?
মূলত পাঞ্জাবী খাবার। সবাইকে পাঞ্জাবী খাবার খেতে দেয়া হয়। তবে কিছু বাংলা এবং চাইনিজ খাবারও ছিল খাবার তালিকায়।
বিয়ে নিয়ে আপনার ছেলে ঝিনুকের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? বিয়েতে ঝিনুক ছিলেন?
ঝিনুক আমাকে যেকোনো বিষয়ে প্রচুর সমর্থন দেয়। সে আমাকে সুখী দেখতে চায়। সে বিয়েতে ছিল। শুধু তাই নয়, ঝিনুক বিয়েতে সাদা কুর্তা–পায়জামা পরেছিল।
রোশান কি উপহার দিলেন বিয়েতে?
সে আমাকে একটি মঙ্গলসূত্র, আংটি এবং সোনার অলংকার দিয়েছে।
আপনি তাকে কি উপহার দিয়েছেন?
আমি তো তাকে ‘আমাকে’ উপহার দিয়েছি (হা হা হা)। মজা করলাম। আমি তাকে গলার চেইন ও আংটি দিয়েছি।
আপনি কি ভবিষ্যতে নামের ক্ষেত্রে রোশানের পদবী ব্যবহার করতে চান?
অবশ্যই। আমি ‘শ্রাবন্তী সিং’ হতে চাই।
মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন?
আমি তো সুইজারল্যান্ড যেতে চাই। কিন্তু এখন পারব না। কারণ অভিমন্যু মুখার্জীর একটি ছবির শুটিং শুরু করেছি। ব্যস্ত ভীষণ।
কলকাতায় বিয়ে পরবর্তী কোনো অনুষ্ঠান হবে?
আমি দুঃখিত, কারণ বিয়েতে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিমন্ত্রণ করতে পারিনি। আমি আমার জ্যোতিষীর কথায় চলেছি। তিনি যা বলেছেন তা পালন করেছি। রোশান ও আমি খুব শিগগিরই নতুন বাসায় উঠব। এখন বাসা সাজসজ্জার কাজ চলছে। তারপর আমরা আমাদের বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করব। পার্টি করব।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ