চোখ খুলেছেন সুবীর নন্দী, হার্টের অবস্থা অপরিবর্তিত
৩ মে ২০১৯ ১৯:৫৬
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী। সেখানে শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে চোখ খুলেছেন তিনি। চিনতে পারছেন পরিচিতদের। হাত-পা নাড়াতে পারছেন। বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি সূবীর নন্দীর পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করছেন।
তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘সুবীর নন্দী ১৮ দিন পর চোখ খুলেছেন। এটাই আনন্দের কথা। তার মস্তিষ্কে সমস্যা ছিল। এটা নিয়ে আমরা ভয়ে ছিলাম। সেটা কেটে যাচ্ছে। কারণ তিনি পরিচিতদের চিনতে পারছেন। তার সঙ্গে মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী রয়েছেন। তাকে দেখে সুবীর নন্দীর চোখে পানিও চলে এসেছে। এর মানে তার অনুভূতি কাজ করছে। এগুলো ভালো লক্ষণ।’
সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তার শারীরিক এই অবস্থা দেখে বলা যাবে না যে তার উন্নতি হচ্ছে। এতদিন তার জ্বর ছিল। চিকিৎসকরা আগে তার জ্বর কমিয়েছেন। মস্তিষ্কের জটিলতাও নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। শনিবার (৪ মে) থেকে হার্টের চিকিৎসা শুরু করবেন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। সেটাও অনেক জটিল চিকিৎসা। সুবীর নন্দীর হার্টের অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত।’
সিঙ্গাপুরে ৩০ এপ্রিল থেকে চিকিৎসা শুরু হয় সুবীর নন্দীর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই তাকে নেয়া হয় সিঙ্গাপুরে।
গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হন সুবীর নন্দী। সেসময় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএএইচ) ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরে পুনরায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। ৩-৪ মিনিটের চেষ্টার পরে হৃদযন্ত্র সচল হলে নন্দিত এই সংগীতশিল্পীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
সুবীর নন্দী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চার বার। বাচসাস পুরস্কারও পেয়েছেন চার বার। গানে অবদান রাখায় এ বছর তাকে ভূষিত করা হয়েছে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে।
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায় সুবীর নন্দীর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর। বাবা চাকরি করতেন চা বাগানে। ছোটবেলা কেটেছে সেখানেই। ছোটবেলাতেই মা পুতুল রানীর কাছে গানে হাতেখড়ি। পরে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে।
সারাবাংলা/পিএ