‘পদ্মাপুরাণ’ কি পারবে কপিলা-কুবেরদের মনে করিয়ে দিতে?
১৪ মে ২০১৯ ১৪:২৯
কুবের ও কপিলা চরিত্র দুটি আবহমান বাংলার শ্বাশত চরিত্র। মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসের মাধ্যমে চরিত্রগুলো নিজেদের ঘটনা বলেই মেনে নিয়েছে বাঙালি। তাই উপন্যাসটি কাদা মনে ছাপ ফেলে রেখেছে পাঠকদের।
কলেজের সিলেবাসে থাকায় উপন্যাসটি পড়েছেন অনেকেই। উপন্যাসটির নাম ছড়ানোর পর এমনিতেও পড়েছেন অনেক পাঠক। আর উপন্যাসটি থেকে সিনেমা হওয়ার পর তার একটি দৃধ্যরূপ দেখেতে পেয়েছেন দর্শকরা। তাই উপন্যাস ও সিনেমা দুটোই স্মৃতি করে বয়ে বেড়াচ্ছেন পাঠক ও দর্শকরা।
কুবের, মালা, কপিলা বা হোসেন মিঞাদের ফেলে আসা সেই পদ্মাপারের জীবন এখন কেমন? চরিত্রগুলো নেই, কিন্তু সেই জেলে জীবন, শাষন-শোষন, অভাব, কিছু আনন্দ–ভালোবাসা, এগুলো কী সব আগের মতোই? এই প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া গেলেও একটা পরম্পরা পাওয়া যাবে ‘পদ্মাপুরাণ’ ছবিতে।
পদ্মানদীর অববাহিকায় থাকা মানুষগুলোর বর্তমান অবস্থা, তাদের মানসিকতা, আর্থিক অবস্থা এবং জীবন ধারণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন সিনেমা ‘পদ্মাপুরাণ’। পরিচালনা করেছেন রাশিদ পলাশ।
তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা পদ্মাপাড়ের বর্তমান অবস্থাটাই তুলে ধরেছি। সেখানে কুবের, মালা, কপিলা বা হোসেন মিঞা নামে কোনো চরিত্র নেই। কিন্তু আছে তাদের ছায়া। এই বাস্তবতায় কুবের–কপিলারা কী করত? সেটা এই ছবি দেখে পরোক্ষভাবে দর্শকদের মনে হতে পারে। বিশেষ করে যারা এই চরিত্রগুলোকে চেনেন।’
পরিচালক আরও জানান, পদ্মার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যেতে শুরু করেছে নদীপারের মানুষের জীবন। এই বদলগুলোই ফ্রেমে আনতে চেয়েছেন পরিচালক।
ছবির গল্প রাশিদ পলাশের। গল্প সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নদী কেন্দ্রিক জীবন এখন আর নেই। তাহলে সেখানে কী হয়েছে? আমরা দেখলাম সেখানে অভাব বেড়েছে, শিক্ষা নেই, নেই মানবিকতা। সবচেয়ে ভয়ানক হলো অপরাধমূলক কাজ বেড়ে গেছে। তাহলে কেমন আছে সেই কুবের, মালা, কপিলারা? আমার সিনেমার দর্শন মূলত এমন।’
ছবির দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে সম্প্রতি। এখন ছবিটি আছে সম্পাদনার টেবিলে। ঈদুল ফিতরের পরেই ছবিটি সেন্সরে জমা দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন পরিচালক।
ছবিতে শম্পা রেজা অভিনয় করছেন শিখন্ডী (তৃতীয় লিঙ্গ) সম্প্রদায়ের প্রধানের চরিত্রে। আর চম্পা অভিনয় করছেন একজন মাদক ব্যবসায়ীর ভুমিকায়। ছবিতে আরও আছেন প্রসূন আজাদসহ অনেকে।
সারাবাংলা/পিএ/আরিএসও