কানে সাধারণ দর্শকদের অংশগ্রহণ কেমন?
১৭ মে ২০১৯ ১৫:০৩
কান চলচ্চিত্র উৎসব যেমন পৃথিবীর সিনেমা সংশ্লিষ্ট মানুষদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু তেমনি এই উৎসব ঘিরে সাধারণ দর্শকদের উন্মাদনাও কম নয়। আমন্ত্রিত অতিথি ও ইন্ড্রাস্ট্রি প্রফেশনাল ছাড়া এখানে প্রবেশাধিকার না থাকায় প্রতিযোগিতা বিভাগের সিনেমা দেখার সুযোগ হয়না স্থানীয় দর্শকদেরও।
গত বছর থেকে উৎসব কর্তৃপক্ষ সিনেমাপ্রেমী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কানে ‘থ্রি ডেজ’ নামের একটা প্রোগ্রাম চালু করেছে, এতে তরুণ ছাত্র ছাত্রীদের আমন্ত্রণ পত্রের আশায় সারাদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার চাপ কিছুটা কমলেও সাধারণ মানুষ সেই আগের মতোই দাড়িয়ে থাকছেন হাতে লেখা কাগজ নিয়ে, ফুটে উঠছে একটি আমন্ত্রণ পত্রের জন্য তাদের আকুতি।
কান সৈকতে ১৪ মে শুরু হওয়া বিশ্বের মর্যদার্পূর্ণ এই চলচ্চিত্র উৎসবে ১৬ মে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে ছিলো কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী স্যার এল্টন জনের বায়োপিক ‘রকেটম্যানের’ উদ্বোধনী প্রদর্শনী। ডেক্সচার ফ্লেচার পরিচালিত এই সিনেমায় স্যার এল্টন জনের ভুমিকায় অভিনয় করেছেন ট্যারন এজাটন। মজার বিষয় হলো, এল্টন জন নিজে ছবিটি প্রযোজনা করলেও পরিচালককে পুর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন তার জীবনের অন্ধকার দিক তুলে ধরার। এই ছবিটি দেখতে সাধারণ দর্শকের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মত।
গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে উৎসবের ব্যাজধারী অতিথিদেরও সরাসরি সিনেমা দেখার সুযোগ নেই। নিজের ফেস্টিভাল একাউন্টে গিয়ে আমন্ত্রণ পত্রের জন্য অনলাইন আবেদন করতে হয় তাদেরও। অনেকটা লটারির মত ভাগ্যের জোরেই মেলে আমন্ত্রণপত্র, নাইলে শেষ সময়ে হলের সিট খালির আশায় থাকতে হয়।
লুমিয়েরে আমন্ত্রণের জন্য অতিথিদেরই যখন ভাগ্যের উপর নির্ভর করতে হয় তখন সাধারণের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। তবুও তাদের অপেক্ষা শেষ হয়না যদি আমন্ত্রণপত্র পাওয়া কোন অতিথি শেষ সময়ে সিদ্ধান্ত বদল করেন সেই আশায়।
সারাবাংলা/জেএ/পিএ