পাম ডি’অর-এর ক্লোজ রেসে এগিয়ে কোন ছবি?
২৪ মে ২০১৯ ১৩:৩০
হলিউড রিপোর্টার, স্ক্রিন কিংবা ‘লো ফিল্ম ফ্রঁসে’র মতো পত্রিকাগুলো দিয়ে চলছে র্যাঙ্কিং। কোয়েন্টিন তারান্তিনো’র ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন হলিউড’ উৎসব ‘হটবাজ’ হলেও এগিয়ে নেই ছবিটি। কানের অনমনীয় চরিত্রের কারণেই হচ্ছে এমনটা। বরং সবাই ভাবছে গেল বছরের এশিয়ার প্রতিনিধির পর এবার ইউরোপ কিংবা লাতিনে যাবে পাম ডি’অর।
স্পেনের নির্মাতা পেদ্রো আলমোদোভারের ‘পেইন অ্যান্ড গ্লোরি’ কে গোল্ডেন পাম রেসে এগিয়ে রাখছে বিখ্যাত পত্রিকাগুলো। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মাতা বঙ জো হুর ‘প্যারাসাইটের’ প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন উৎসবে যোগ দেয়া ফিল্ম প্রফেশনালসরা।
কোঁতে দ্য জুখের নীল জলে বেলা শেষের গান ছাপিয়ে সবচেয়ে বড় আলোচনা এখন, কোন ছবি জিততে চলেছে এবারের কান উৎসবের স্বর্ণপাম? উৎসবই বা কেমন হলো?
ছবির শিল্পমান আর আয়োজন মিলিয়ে গেল কয়েক বছরের তুলনায় এবারের উৎসবকে এগিয়ে রাখছেন ফিল্ম ক্রিটিকস আর সাংবাদিকেরা।
ইরান থেকে আসা ফিল্ম ক্রিটিকস মো. আবদি’র কাছে এবারের উৎসব গেল বছরের চেয়ে এগিয়ে। ৭১তম উৎসবের সিনেমার কোয়ালিটি ভালো ছিল না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ বছর ছবির মান অনেক ভালো। এটা ভালো খবর’।
গেল প্রায় ৩০ বছর ধরে কান কাভার করছেন ভারতীয় ফিল্ম প্রফেশনালস উমা চুনহা। বলছিলেন, ‘আমার জন্য এটা অনেক বড় উৎসব। সবসময়ই কান সেরা। এবছর আরো ভালো’।
ছবির শিল্পমান বিচারে এবারের উৎসবকে সবাই থ্রি স্টার (সর্বোচ্চ) র্যাঙ্কিং দিচ্ছেন। গেল কয়েক বছর ধরে কান কর্তৃপক্ষ বিগ বাজেট বা সেলিব্রেটি ছবি নয়, গুরুত্ব দিচ্ছেন ছবির মানের দিকে। বিশেষ করে শিল্পমান।
তাই কানের এবারের উৎসবে ব্র্যাড পিট আর ডি’ক্যাপ্রিও জুটির ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন হলিউড’ বাদে সেই অর্থে তারকা সমৃদ্ধ ছবি খুব একটা নেই।
ইরানের চলচ্চিত্র সমালোচক মো. আবদি তো বলেই দিয়েছেন ‘আমি যদি জুরি হতাম তাহলে আমি গোল্ডেন পাম দক্ষিণ কোরিয়ার বঙ জু হো-কে দিয়ে দিতাম। তার ‘‘প্যারাসাইট’’ ছবিটির চিত্রনাট্য এবং মেকিং অসাধারণ। পৃথিবীতে বৈষম্যের যে গল্প বলেছেন তিনি, আমি মনে করি, বিচারকরা তা আমলে নেবেন’।
ফরাসী ছবি ‘লা মিজারেবল’ কিংবা ‘পোর্ট্রেট অব আ লেডি ইন ফায়ার’ ভালোমতোই রয়েছে গোল্ডেন পাম রেসে।
ভারতীয় সাংবাদিক উমা চুনহার ভোট পেদ্রো আলমোদোভারের প্রতি হলেও তিনি বলছেন, ‘উৎসবের ২১ ছবির মান এতো কাছাকাছি যে, যে কোনটিই জিতে নিতে পারে এবারের গোল্ডেন পাম’।
জার্মান সিনে ম্যাগাজিনের সাংবাদিক হারাল্ড পৌলির ভোটটা আলমোদোভারের ‘পেইন অ্যান্ড গ্লোরি’র প্রতি। এরপরই তিনি এগিয়ে রাখছেন ফরাসি সিনেমা ‘পোর্ট্রেট অব আ লেডি অন ফায়ার’ কে।
এদিকে, শুরু হয়েছে কানের নানা বিভাগের ছবির পুরস্কার ঘোষণা। ৭২ তম আসরের ‘২২ তম সিনেফাউন্ডেশন’ পুরস্কার পেয়েছে ফরাসি নির্মাতা লুইজ কোভয়েসারের ছবি ‘মানো আ মানো’।
শর্ট ফিল্ম ও সিনেফাউন্ডেশন জুরি প্রধান ক্লেয়ার ডেনিশের নেতৃত্বে একটি বিচারক প্যানেল এই পুরস্কার ঘোষণা করেন উৎসবের দশম দিনের শেষ বেলায়।
সারাবাংলা/পিএ