মমতাজউদদীন আহমদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি নেই
২ জুন ২০১৯ ১৩:৩৪
দেশবরেণ্য নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা এবং শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ আছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। গেলো প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তিনি রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিৎিসাধীন আছেন। তবে গেলো দুদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতি হচ্ছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তবে চিকিৎসকরা অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদকে ভেন্টিলেশনে দিতে চাইলেও তাতে রাজি হচ্ছেনা পরিবার। বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।
রোববার (২ মে) সকালে মমতাজউদদীনকে দেখতে খবর জানতে হাসপাতালে যান রামেন্দু মজুমদার। সেখানে মমতাজউদদীন আহমদের ছেলে তিতাস মাহমুদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানেই পরিবারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি।
রামেন্দু মজুমদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘পরিবার চায় না তাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ভেন্টিলেশনে রাখতে। তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত আছেন। কারণ চিকিৎসক তাদের জানিয়েছেন, যেকোনো খারাপ খবরের জন্য প্রস্তুত থাকতে।’
মমতাজউদদীনের ছেলে তিতাস মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। পিতার অসুস্থার কারণে বর্তমানে তিনি দেশে অবস্থান করছেন। ১৬ মে থেকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাখা হয়েছে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ)। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি।
নানা সৃজনশীল গুণে গুণান্বিত অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ একজন ভাষাসৈনিকও। বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম এই পথিকৃৎ ১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদকে ভূষিত হন। এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি কলেজে ৩২ বছর বাংলা ভাষা সাহিত্য এবং বাংলা ও ইউরোপীয় নাট্য বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৭-৮০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন।
দেশের অন্যতম নাট্যদল থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
সারাবাংলা/পিএ/পিএম