গতবারের তুলনায় এবার ঈদের হল সংখ্যা কমেছে
৩ জুন ২০১৯ ২১:২৮
গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের রোজার ঈদে মুক্তি পেয়েছিল তিন সিনেমা। ছবিগুলো হলো ‘রংবাজ’, ‘অহংকার’ এবং ‘সোনাবন্ধু’। এই তিনটি ছবি দেশের তিনশটি সিনেমা হলে মুক্তি পায়।
এবার অর্থাৎ ২০১৯ সালের রোজার ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তিনটি সিনেমা। ছবিগুলো হলো ‘পাসওয়ার্ড’, ‘নোলক’ এবং ‘আবার বসন্ত’। এই তিনটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে তিনশরও অনেক কম হলে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই সংখ্যা ২৬২টি।
অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ঈদে হল সংখ্যা অনেকখানি কমেছে। ঈদের তিন সিনেমার সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী এখন পর্যন্ত পাসওয়ার্ড প্রদর্শিত হবে ১৮০টি প্রেক্ষাগৃহে, নোলক ৭৫টি হলে এবং আবার বসন্ত প্রদর্শিত হবে ৭টি প্রেক্ষাগৃহে।
পাসওয়ার্ড সিনেমার অন্যতম প্রযোজক মো. ইকবাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পাসওয়ার্ড ছবিটি ১৭৬টি হলে প্রদর্শনের জন্য চূড়ান্ত হয়েছে। আগামীকাল (৪ জুন) আরও কিছু হলে প্রদর্শনের জন্য কথা চূড়ান্ত হবে। আশা করছি ছবিটি ১৮০টি হলে প্রদর্শন হবে।’
আয়ের দিক দিয়ে পাসওয়ার্ড ছবিটি এরই মধ্যে শাকিব খান অভিনীত আগের সব ছবির রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে জানান প্রযোজক ইকবাল। তিনি জানান, টেবিল কালেকশনেই শাকিব-বুবলী অভিনীত ছবিটির খরচ তো উঠে গেছেই এবং এখন ছবিটি আয়ের মুখ দেখা শুরু করেছে।
নোলক সিনেমার পরিবেশক জাজ মাল্টিমিডিয়া। পরিবেশক সূত্র জানিয়েছে ৭৫ টি হলে মুক্তি পাবে শাকিব-ববি জুটির নোলক। মঙ্গলবার (৪ জুন) চূড়ান্ত হল তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এরইমধ্যে হল তালিকা প্রকাশ করেছে সিনেমা ‘আবার বসন্ত’। রাজধানীর বলাকা সিনেমা, বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স, সীমান্ত সম্ভারের স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাসে দেখা যাবে ছবিটি। সাভারের সেনা অডিটোরিয়াম, ময়মনসিংহের পূরবী সিনেমা এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনেও ছবিটি প্রদর্শিত হবে।
ছবিটির পরিচালক অনন্য মামুনের দাবি এরইমধ্যে ছবির খরচ তুলে ফেলেছেন তিনি। আর বেশি হলে নয় বরং ভালো ছবির মাধ্যমে ব্যবসা করতে চান তিনি।
অন্যদিকে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ জানান, এবার ঈদের হল সংখ্যা আড়াইশোরও নিচে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি শুনেছি এবার ২৪৪টি প্রেক্ষাগৃহ চালু থাকবে।’
হল সংখ্যা এতো কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর মৌসুমি হল ব্যবসায়ী অর্থাৎ যারা শুধু ঈদেই প্রেক্ষাগৃহ চালু করেন, তাদের অনেকেই হল চালু করেননি। যার কারণে হলের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
সারাবাংলা/পিএ/এএসজি