Wednesday 27 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম প্রদর্শনী শুরু


২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৬:০০

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট:

৩৫টি দেশের ৩০০ এর বেশি শিল্পীর শিল্পকর্ম এক ছাদের তলায়। শিল্পরসিক, শিল্প সমালোচকদের জন্য এ এক বিরাট সুযোগ। বিভিন্ন দেশের শিল্প ভাবনা, শিল্প স্বাধীনতা সম্পর্কে জানা যাবে এই এক জায়গাতেই।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শিল্পকলায় শুরু হয়েছে ঢাকা আর্ট সামিট। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এই প্রদর্শনীতে শিল্পরস আস্বাদন করতে পারবেন শিল্পবোদ্ধারা। সাধারণের জন্য প্রদর্শিনীটি উন্মুক্ত। শিল্পবোধ জাগ্রত করতে সাধারণ দর্শনার্থীদেরও সাহায্য করবে এই আয়োজন।

জাতীয় চিত্রশালার পুরোটা জুড়ে এই প্রদর্শনী চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শিল্প এবং স্থাপত্যকে নতুন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দিতে এই আয়োজন করেছে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন, সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আয়োজনের চতুর্থ আসর এটি।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আর্ট সামিটের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। আরো ছিলেন ফারুক সোবহান, চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক কমিটি, ঢাকা আর্ট সামিট এবং নাদিয়া সামদানী, ডিরেক্টর, সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলার মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

‘ঢাকা আর্ট সামিট শুধু প্রদর্শনী নয়, শিল্পকলার এক মহাযজ্ঞ।’ বলেন নাদিয়া সামদানী।

সংস্কৃতির মাধ্যমে জঙ্গীবাদ ঠেকাতে আর্ট সামিট শিল্পের জনমত তৈরিতে সাহায্য করবে বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততাকে আরো দৃঢ় করবে বলে মনে করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা আর্ট সামিটের চতুর্থ আসরে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কার শিল্পকলার ইতিহাস। প্রথমবারের মত সামিটে সম্পৃক্ত হয়েছে ইরান ও তুরস্ক।

বাংলাদেশের ১২টি আর্টিস্ট-লেড প্রতিষ্ঠান তাদের শিল্পীদের নিয়ে ঢাকা আর্ট সামিটে অংশগ্রহণ করেছে। এবার সামিটে প্রায় বারোশ আন্তর্জাতিক অতিথি আসবে বলে ধারণা করছে আয়োজকেরা।

প্রদর্শনীতে থাকছে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, ভিডিও আর্ট। এছাড়াও থাকছে আন্তর্জাতিক শিল্পীদের অংশগ্রহনে মাল্টিস্টেজ পারফরম্যান্স, যা এবারের সামিটের বিশেষ আকর্ষণ হয়ে আছে।

আয়োজনে আরো সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।

সারাবাংলা/পিএ/টিএস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর