মন কাঁদলেও হুমায়ূন আর আসবেন না
১৯ জুলাই ২০১৯ ১৫:৩৯
‘যদি মন কাঁদে, তুমি চলে এসো, এক বরষায়’- হুমায়ূন আহমেদের লেখা গান। হয়ত বরষাতে বার বার তিনি ফিরতে চেয়েছেন প্রকৃতিতে। হয়ত ফেরেনও, কিন্তু তাকে কেউ দেখতে পায় না।
কোটি ভক্তের মনে সবসময় বসবাস করলেও শ্রাবণে এক বিশেষ আবেগ নিয়ে ধরা দেন হুমায়ূন। শ্রাবণেই তিনি না ফেরার কথা দিয়ে গেছেন সবাইকে। তবুও মানুষের ভালোবাসা আর মায়া কাটাতে পারেন না হুমায়ূন। ১৯ জুলাই- অদেখা লোকে যাত্রা করার দিনটি বার বার মনে করিয়ে দেয় হুমায়ূনকে, এক বরষার দিনেই।
কথার যাদুকর হুমায়ূন আহমেদ। তার আত্মজীবনীমূলক ‘বলপয়েন্ট’, ‘ফাউন্টেনপেন’ বইগুলোতে তিনি জানিয়েগেছেন তার ভালোলাগা-মন্দলাগার অনেককিছুই। বৃষ্টি ও প্রকৃতি তার কত প্রিয়, তারও অনেক কথাই, অনেক ঘটনাই সেখানে লিখে গেছেন এই সাহিত্যিক। আর প্রিয় বলেই হয়ত বর্ষা ঋতুতেই জীবন ঝড়েছে তার।
প্রকৃতির সঙ্গে কথা বলতেন হিমু-মিসির আলী চরিত্রের এই স্রষ্টা। ম্যাজিক এবং লজিক- দ্বাদ্বিক চরিত্রের এই দুই চরিত্রের মানুষটি প্রকৃতিতে বুঝতে চেয়েছেন নানাভাবে। তাই চিরনিদ্রা তার প্রকৃতির মাঝেই। সবুজে ঘেরা নুহাশ পল্লী’র লিচু তলা এখন তার ঠিকানা।
২০১২ সালের ১৯ জুলাই মারা যান হুমায়ূন। শুক্রবার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী। কিন্তু যারা আগে যা করে গেলেন, তাতেই তৈরি হলো ইতিহাসের এক অধ্যায়।
উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ ও ‘শঙ্খনীল কারাগারের’ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন তার আগমনী বার্তা। তার হাতেই লেখা হলো এই সব দিন রাত্রি, বহুব্রীহি, নক্ষত্রের রাত, অয়োময়, কোথাও কেউ নেই, আজ রবিবার নামের নাটক। আগুনের পরশমণি, দুই দুয়ারি, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা নামের তার পরিচালিত সিনেমা।
শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়শা ফয়েজের ঘরে ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন হুমায়ূন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে রসায়ন বিষয়ে উচ্চতর লেখাপড়া করেন তিনি। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালে নিয়ইয়র্কের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সারাবাংলা/পিএ