ঈদ নাটকের আয়ে এগিয়ে নিশো-মেহজাবীন
১৫ আগস্ট ২০১৯ ১৬:৫১
প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে নাটক নির্মাণের হিড়িক পড়ে যায়। একাধিক নির্মাতা গুটিকয়েক অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে সেসব নাটক নির্মাণ করেন। গত কয়েক বছর ধরে দেশি নাটকে ঘুরে ফিরে একই মুখ দেখা যাচ্ছে। ধরেই নেওয়া হয়, নাটকের জনপ্রিয় মুখগুলো ঘুরে ফিরে আসে আর তাদের পকেটেই ঢোকে ঈদের সর্বোচ্চ আয়।
তবে জনপ্রিয়তার ধরন বদলে যাচ্ছে। এই সেদিনও মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, জাহিদ হাসানদের নাম প্রথম সারিতে আসলেও এখন আর তেমনটা নেই। এবারের ঈদের হিসাব সে কথাই বলছে। নাটক থেকে আয়ের হিসেবে মোশাররফ করিম দ্বিতীয় অবস্থানে চলে গেছেন। আয়ের খাতার হিসাব কিংবা নাটকের কাস্টিংয়ে চঞ্চল চৌধুরী, জাহিদ হাসানরা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছেন। একই অবস্থা নুসরাত ইমরোজ তিশারও। তাকে পিছনে ফেলে এখন আয়ের খাতায় বড় অংক গুনছেন মেহজাবীন।
এবার দেখে নেওয়া যাক নাটকের কাস্টিং ও আয়ের খতিয়ান। পুরুষ অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আফরান নিশো সবচেয়ে এগিয়ে এবারের ঈদে। টেলিভিশন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে তিনি ৩৭টি নাটকে অভিনয় করেছেন। প্রতি নাটকে গড়ে ৬০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নেন তিনি। সেই হিসাবে ঈদুল আজহায় তিনি ২২ লাখ ২০ হাজার টাকা আয় করেছেন।
এক সময়ের সবচেয়ে ক্রেজ মোশাররফ করিম এবার ১৯টি নাটকে অভিনয় করেছেন। তবে এখনো পারিশ্রমিকের হিসেবে তার নাটক প্রতি সর্বোচ্চ দর ৮০ হাজার টাকা। যা থেকে মোট আয় হচ্ছে ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।
সার্বিকভাবে তৃতীয় অবস্থানে মেহজাবীন। তিনি সর্বোচ্চ ২৪টি নাটকে অভিনয় করে নাটকপ্রতি ৫০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দরে আয় করেছেন ১২ লাখ টাকা।
নাটকের হিসেবে দ্বিতীয়, আয়ের হিসাবে চতুর্থ তৌসিফ মাহবুব। তিনি অভিনয় করেছেন ৩৪টি নাটকে। নিয়েছেন ৩৫ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক। তাতে তার মোট আয় দাঁড়াচ্ছে ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। নারীদের মধ্যে ২৩টি নাটক করে ৩৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দরে তানজিন তিশা আয় করেছেন ৮ লাখ ৫ হাজার টাকা।
দর্শক চাহিদার কারণে নির্মাতারা এসব অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে বাধ্য হয়ে নাটক নির্মাণ করেন। এছাড়া চ্যানেলগুলোর আগ্রহও আছে তাদের প্রতি। এদিকে চঞ্চল চৌধুরী, অপূর্ব, তাহসান এবং নারী অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে তানজিন তিশা, নুসরাত ইমরোজ তিশাও ছিলেন এবারের তালিকায়। তবে শীর্ষ তালিকায় তারা একটু পিছিয়েই রয়েছেন।
নাটকের পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে পারিশ্রমিক ও নাটক সংখ্যার তথ্য পেয়েছে সারাবাংলা। তবে সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে একাধিক অভিনেতা–অভিনেত্রী বলেছেন, তাদের পারিশ্রমিকের কোনো সুনির্দিষ্ট অংক থাকে না। সম্পর্কের খাতিরে কখনো কখনো তারা পারিশ্রমিক কিছুটা কম নেন। আবার অনেকে ঈদ উপলক্ষে পারিশ্রমিক কিছুটা বাড়িয়েও দেন।