Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিনেমা বানাতে গিয়ে পলাশ এখন হোটেল বয়


২৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৫৫

অরণ্য পলাশ ও ‘গন্তব্য’ ছবির পোস্টার।

সিনেমা নির্মাণ নাকি নেশার মতো! যাকে এই নেশায় একবার পেয়ে বসে তার জীবনের গতিপথ বদলে যায়। ভাগ্য সহায়তায় কেউ এগিয়ে যান সফলতার দিকে, আবার বিধি বাম হলে পড়ে থাকতে হয় আস্তাকুঁড়ে।

তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক অরণ্য পলাশের কথা ধরা যাক। সিনেমার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে নির্মাণ করেছিলেন ‘গন্তব্য’ নামের একটি সিনেমা। ফেরদৌস, আইরিন, জয়ন্ত চট্টেপাধ্যায়, কাজী রাজু, আফফান মিতুলের মত অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে তিনি ছবিটি নির্মাণ করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিচালক ছবিটি মুক্তি দিতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

ছবির সবশেষ অবস্থা জানতে যোগাযোগ করা হয় অরণ্য পলাশের সাথে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ছবির প্রযোজক আমি। তাই আমার সর্বস্ব শেষ করে ‘গন্তব্য’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে সুদে ঋণ নিয়ে, জমি বিক্রি, স্ত্রী’র গয়না বিক্রি করে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছি। ছবির সেন্সর পেয়েছি বেশ আগেই। কিন্তু ছবিটি মুক্তির দেওয়ার জন্য টাকা আমার কাছে নাই।

পলাশ জানান, তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের কাছে ছবিটি বিক্রি করতে চেয়েছেন। কিন্তু তারা যা দাম বলছে তা যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, আমি উপায় না পেয়ে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের কাছে ছবিটি বিক্রি করতে চেয়েছি। তারা প্রথম দিকে আমার ছবিটি ১০ লাখ টাকায় কিনতে চেয়েছিলেন। পরে তারা ৭ লাখ টাকা দিবেন বলে জানান। এখন তারা দিতে চাইছেন মাত্র ৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৩ লাখ ছবির কপিরাইট এবং বাকি এক লাখ টাকা অনলাইন স্বত্ব। এত কম টাকায় সিনেমা বিক্রি করা আদৌ সম্ভব নয়।

‘গন্তব্য’ ছবির একটি দৃশ্যে ফেরদৌস ও আইরিন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

‘গন্তব্য’ ছবির একটি দৃশ্যে ফেরদৌস ও আইরিন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

পলাশ আরও বলেন, এই ছবিটি নির্মাণ করতে গিয়ে আমি আমার সব হারিয়েছি। আমার আত্মীয়-স্বজন আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। এমনকি আমার স্ত্রীও চলে গিয়েছেন আমাকে ছেড়ে। এত ত্যাগ শিকার করে যে সিনেমা নির্মাণ করলাম, সেটি এত কম মূল্যে বিক্রি করার চেয়ে বিক্রি না করাই ভালো।

বিজ্ঞাপন

কথায় কথায় পলাশ জানান, তিনি এখন মিরপুরে একটি রেস্তোরাঁতে হোটেল বয়ের কাজ করছেন। তিনি বলেন, দেখুন আমার নিজেকে চলতে হবে। আমি অনেক জায়গায় চাকরি খুঁজেছি। সবাই বলেছেন, আগে সিনেমা রিলিজ দাও তারপর। এভাবে তো চলতে পারে না। আমার পেট চালাতে হবে। তাই দৈনিক ২৫০ টাকা হাজিরা ও তিন বেলা খাওয়ার চুক্তিতে রেস্তোঁরায় কাজ করছি।

ছয় বন্ধু মিলে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং সেই চলচ্চিত্রটি সারাদেশে প্রদর্শন করানোর ঘটনা নিয়ে গড়ে উঠেছে সিনেমার কাহিনী। গল্পে আছে দুটি ভাগ, একটি শহরের, অন্যটি গ্রামের।

‘গন্তব্য’ সিনেমা অরণ্য পলাশ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর