Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জীবনটাকে ফিরে দেখবো হয়তো কখনো


১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৮:৩৫

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক:

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কলকাতায় এক কনসার্টে অংশ নেন দেশের জনপ্রিয় রকস্টার জেমস। আয়োজনের ফাঁকে তিনি কথা বলেছেন ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে। তুলে ধরা হলো সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ।

লেখাপড়ায় অবহেলার কারণে জেমসকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন তার বাবা। বাড়ি থেকে পালিয়ে জেমস শুরু করেন তার বোর্ডিং জীবন। আর তখন থেকেই মূলত শুরু তার গানের সফর।

বিজ্ঞাপন

‘আমার পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম। বাবা-মা আমাকে জেমস নামে ডাকতেন। এই নামের যশ-খ্যাতি যাই হয়েছে, যতটুকুই হয়েছে, বাবা সেটা দেখে যেতে পারলেন না। এটাই আফসোস।’

‘প্রিয় আজিজ বোর্ডিং’ শিরোনামে জেমসের একটি গান রয়েছে। এই রকস্টারের বোর্ডিং জীবনের ঘটনা নিয়েই তৈরি হয়েছে গানটি।

স্ট্রাগলের সেই জীবনের দিকে জেমস কী ফিরে তাকান? এমন প্রশ্নের জবাবে জেমস বলেন, ‘সত্যি বলতে, ঘুরে তাকানোর মতো সময় নেই। আরও অনেক কাজ করতে চাই। তবে হ্যাঁ, কোনও একটা সময় নিশ্চয়ই এই চলার পথে একবার ঘুরে দেখব জীবনটাকে। যে জার্নিটা করেছি, চলার পথে স্ট্রাগল ফিরে দেখতে চাই। নাইট ক্লাবে গাইতাম, আবার বিয়ের অনুষ্ঠানেও গাইতে হতো। সবই আনন্দের সঙ্গে করতাম।’

জীবনের ধরণই বলে দেয় কিছুটা পাগলামী, কিছুটা বোহেমিয়ান স্বভাবের জেমস। তা বোঝা যায় বিভিন্ন দেশে জেমসের ঘুরে বেড়ানোর খবর জেনে। নিউ ইয়র্ক তার পছন্দের শহর। তবে কলকাতা নাকি তার আরো বেশি পছন্দের। তাই ভালোবাসা দিবসে শ্রোতা মাতিয়েছেন সেখানে। বাংলাগানের পাশাপাশি গেয়েছেন তার গাওয়া হিন্দী ‘ভিগি ভিগি’, ‘চাল চালে’ গানগুলো।

জনপ্রিয় হিন্দী গান উপহার দেয়ার পর কেন জেমস বলিউডে নিয়মিত হলেন না? এমন প্রশ্নের উত্তরে জেমস বলেন, ‘পেশাদার ভাবে কাজটা করতে হলে আমাকে মুম্বইয়ে থাকতে হতো। আমার পক্ষে সেটা সম্ভব ছিল না। তবে মাঝখানে ভেবেছিলাম, আমার জনপ্রিয় বাংলা গানগুলো হিন্দিতে রিক্রিয়েট করব। সময়ের অভাবে সেটা হচ্ছে না। এর কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই। অনেক বার প্রস্তাব পেয়েছি। হয়তো সামনেই কোনও কাজ করতে পারি।’

বিজ্ঞাপন

কথায় কথায় নতুন গান তৈরির কথাও জানিয়েছেন জেমস। শুরু করেছেন নতুন গান তৈরির কাজ। স্টেজ শোয়ের চাপে অ্যালবামের জন্য তেমন সময় দিতে না পারলেও কয়েকটি গান প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

গানের প্লাটফর্ম ডিজিটালে রূপান্তর বিষয়ে জেমস বলেন, ‘গান এখন অনেকটাই অ্যাপকেন্দ্রিক। তার কিছু ভাল দিক থাকলেও গানের মজাটা থাকছে না। এখন সমস্যা হল, সারা দুনিয়াতেই ভাল গানের অভাব। শিল্পীকে কর্পোরেট ব্যবস্থা এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে যে, গুণ ও মানে তার প্রভাব পড়েছে। এখান থেকে বেরোতে না পারলে নতুন সৃষ্টি হবে কী ভাবে? শিল্পীকে স্বাধীনতা দিতে হবে।’

স্বভাবে স্বাধীনচেতা জেমস অবসর কাটান আড্ডা দিয়ে। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে তেমন একটা দেখা হয়না তার। বিদেশেই থাকেন তার বেশিরভাগ বন্ধু। অবসরে গান শোনেন তিনি। বব মার্লে, জিম মরিসনের গান খুব প্রিয় জেমসের।

আড্ডা আর গান শোনা ছাড়াও ফটোগ্রাফির নেশা আছে জেমসের। এ প্রসঙ্গে জেমস বলেন, ‘আমার এক ফোটোগ্রাফার বন্ধু বলেছিল, ‘তুমি তো সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়াও। নানা জায়গার ছবি তো তুলতে পারো। সেই শুরু।’

জেমসের এক মেয়ে ডালাসে থাকেন। ঢাকায় থাকেন আর এক মেয়ে ও ছেলে। ছেলের ফিল্ম নিয়ে আগ্রহ আছে, ফিল্ম তৈরির চিন্তাভাবনাও রয়েছে বলে জানান জেমস। আর মেয়ে এসএসসি পরীক্ষা দেবে।

সারাবাংলা/পিএ/টিএস

জেমস

বিজ্ঞাপন

সিইসি ও ৪ কমিশনারের শপথ আজ
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০১:৩৩

আরো

সম্পর্কিত খবর