‘বিজয় ফুল প্রতিযোগিতা ২০১৯’র চূড়ান্ত পর্ব শুক্রবার
১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:০০
নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপলব্ধি এবং সংগ্রামী ইতিহাস জানানোর উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বিজয়ফুল’ তৈরি, গল্প ও কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয় ও চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং দলগত দেশাত্ববোধক ও জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ২০১৯ আয়োজন করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর এগুলো বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানানো হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের স্মরণে ডিসেম্বরে বিজয় ফুল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বিজয়ফুল শুধু একটি প্রতীক বা স্মারক নয়, এটি একটি পন্থাও বটে। এ ফুলের মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশ, মু্ক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের কথা বলতে পারি। সেইসঙ্গে আমরা বিজয়ফুলকে নিয়ে সব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়তে পারি। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। শাপলা বিজয়ের প্রতীক। বিজয়ফুলে ছয়টি পাপড়ি ও তার মাঝখানে একটি কলি রয়েছে। মাঝখানের কলিসহ সাতটি ভাগ আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে। অন্যদিকে, ছয়টি পাপড়ি বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে স্মরণ করাবে। ছয় দফা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল বীজ বপন করেছিল।
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ে দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্তঃশ্রেণি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়ে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাইকৃত প্রতিযোগিদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী নির্বাচন করা হবে। ছেলে ও মেয়ে উভয়ের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতা তিনটি স্তরে- গ্রুপ-ক: শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি, গ্রুপ-খ: ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং গ্রুপ- গ: নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ‘জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ফুল প্রতিযোগিতা ২০১৯’ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি’র সভাপতিত্বে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। এছাড়া বিশেষ অতিথি থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শুরু হবে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। এরপর থাকবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জাতীয় পর্যায়ে বিজয় ফুল প্রতিযোগিতা ২০১৯ এর প্রতিটি ক্যাটাগরিতে একজন করে, প্রতিটি বিভাগে ক, খ ও গ শাখায় ৩ জনকে, ৬টি ক্যাটাগরিতে ১৮ জন এবং ৮ বিভাগে সর্বমোট ১৪৪ জনকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বিজয় ফুল বিজয় ফুল প্রতিযোগিতা ২০১৯