এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি
২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:২৪
বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। পারিবারিক এবং তার চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এটিএম শামসুজ্জামানের বড় সমস্যা হচ্ছে তার চোখে। চোখের চিকিৎসক তাকে দেখেছেন। এছাড়া তিনি যার অধীনে চিকিৎসাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের নিউরোমেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলামও তাকে দেখেছেন।
ডা. রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, চোখের সমস্যা ছাড়া এটিএম শামসুজ্জামানের অন্যান্য বিষয় মোটামুটি নিয়ন্ত্রনে আছে। আগামিকাল সকালে তাকে আরেকদফা দেখবো। তবে তার অবস্থা সংকটাপন্ন নয়।
ডা. রফিক আরও জানান, আগামীকাল সকালে দেখার পর পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ টি এম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েলের সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলার। তিনি জানান, আমার বড় বোন কস্তুরি ব্রেন স্ট্রোক করেছেন। উনার অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতার কারণে ক্রিয়েটিনিনও বেড়ে গিয়েছিল। উনার সঙ্গে আব্বু ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছিল। তখন উনি কান্নাকাটি করছিল। আব্বু সেদিন বিছানায় শোয়ার পরে আর উঠেননি। আমাদের ধারণা ছিলনা অবস্থা এতোটা খারাপ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে বোনকে নিয়ে আমি হাসপাতালে ছিলাম। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে বাড়িতে ফিরে দেখি বাবা চলাফেরা করতে পারছেন না, কথাও বলতে পারছেন না। দ্রুত দুপুরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসি। সেখানে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক আতিকুর রহমানের পরামর্শে নিউরোমেডিসিন বিভাগের অধীনে ভর্তি করা হয়েছে বাবাকে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছে যেগুলোর ফলাফল আজ পাওয়া যাবে কিছু। আগামীকালও কিছু পরীক্ষার ফলাফল দিবে। আগামীকাল চিকিৎসকরা আবার পরীক্ষানিরীক্ষা করতে আসবেন।
বিএসএমএমইউ’র মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক আতিকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ভাইরাস সংক্রমণের কারণে উনার বাম চোখ ও কপাল ফুলে গেছে। শরীরের এক পাশ অবশের মতোও হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা ছিল স্ট্রোক। তবে এমআরআই না করানো পর্যন্ত সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। উনার শারীরিক অবস্থাকে আমরা স্থিতিশীল বলতে পারি।
এটিএম শামসুজ্জামানের সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী রুনা জামানের সঙ্গেও কথা হয় সারাবাংলা’র। তিনিও জানিয়েছেন, ‘এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থা গতকালের চেয়ে ভালো।’
উল্লেখ্য এ বছরের ২৬ এপ্রিল এটিএম শামসুজ্জামান শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে অস্ত্রোপাচার করা হয়েছিল তার। এরপর লম্বা সময় ধরে তিনি আজগর আলী হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। মাঝে কিছু জটিলতা দেখা দিলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে গত ২৫ নভেম্বর তাকে আরেক দফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। সেখান থেকে অবস্থা একটু ভালো হওয়ার পর তাকে বাসায় নেওয়া হয়।
এটিএম শামসুজ্জামান একাধারে একজন অভিনেতা, কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক। তিনি শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। একই সাথে বহু নাটক ও সিনেমার কাহিনি-চিত্রনাট্য করেছেন। ‘এবাদত’ তার পরিচালিত একমাত্র ছবি। তিনি ২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘আজীবন সম্মাননা’ পান।
উন্নতি এটিএম শামসুজ্জামান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিএসএমএমইউ শারীরিক অবস্থা