৭১টি কবিতা ও আপসহীন শিমুল
২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:৩০
বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, আর মানবিকতার ৭১টি কবিতা নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা। একাই আবৃত্তি করবেন ৭১টি কবিতা। প্রতিবছরের মতো এবার এর ১০তম আয়োজন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে অনুষ্ঠিত হবে শিমুলের অনুষ্ঠান ‘আপস করিনি কখনোই আমি, এই হলো ইতিহাস’। ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর ডিসেম্বরে এ আয়োজন করছেন শিমুল মুস্তাফা ও তার সংগঠন বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমি।
আলোকবর্তিকা প্রজ্বালন। ছবি: সংগৃহীত
বাঙালি আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলা কবিতাকে সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়াই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
একের পর আন্দোলন করে আপসহীন বাঙালি পেয়েছে স্বাধীনতার টকটকে লাল সূর্য । বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস যেন আপসহীনতারই ইতিহাস। তাই তো স্বাধীনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখেই সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের আমার পরিচয় কবিতার ‘আপস করিনি কখনোই আমি এই হল ইতিহাস’ লাইনটিকে একান্ত নিজের করে নিয়েছেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা।
ছাত্রজীবন থেকেই স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য শিমুল মুস্তাফা কণ্ঠ ও কবিতাকে করেছেন প্রধান হাতিয়ার। এই হাতিয়ার দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে প্রতিবছর বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমির আয়োজনে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরের মুক্তমঞ্চে শিমুল মুস্তাফা আবৃত্তি করেন ৭১টি কবিতা।
অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র
প্রতিবারের মতো এবারো রবীন্দ্র সরোবর সাজবে লাল-সবুজের রঙে। একাত্তরের ৩০ লাখ শহীদকে স্মরণ করে নতুন প্রজন্মের হাতে আলোকবর্তিকা তুলে দিয়ে প্রজ্বালন করা হবে ১৯৭১টি মোমবাতি।
অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেওয়ার জন্য সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে শিশুদের। তাই আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে— ‘আপনার পরিবারের শিশুদের সঙ্গে আনবেন’। শিশুদের মাঝে একাত্তরের চেতনা এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছড়িয়ে দিতেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন আয়োজকরা।
এবারের আয়োজনটিতে সহযোগী হিসেবে আছে ইলেক্ট্রা, একাত্তর টিভি ও ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম।
৭১টি কবিতা আবৃত্তি বৈকুন্ঠ আবৃত্তি একাডেমি রবীন্দ্র সরোবর শিমুল মুস্তাফা