Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অস্কার দৌড়ে বাফটার শিক্ষা


২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৩:৩৩

প্রতীক আকবর ।।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় লন্ডনে শুধু তারার মেলাই বসেনি। ‘বৃটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস’ (বাফটা) আয়োজন দিয়ে গেছে কিছু ইঙ্গিত। কার ঘরে যেতে পারে অস্কার? এই হিসাব মেলাতে ব্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ গোটা চলচ্চিত্র দুনিয়া। ৪ মার্চ বসতে যাচ্ছে অস্কার আয়োজন।

১৮ ফেব্রুয়ারি, বাফটা আয়োজনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ‘থ্রি বিলবোর্ডস আউটসাইড এবিং, মিজৌরি’। আর তিনটি পুরস্কার পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ‘দ্য শেপ অব ওয়াটার’। নব্বইতম অস্কার পাবার লড়াইটাও জমবে এই দুয়ের মধ্যে, ধারণা করছেন বোদ্ধারা।

‘থ্রি বিলবোর্ডস আউটসাইড এবিং, মিজৌরি’ বাফটায় সেরা সিনেমা হয়েছে বলেই কি অস্কারেও সেরা হবে? অবশ্যই না। ২০১৪ সালে শেষবার একমত হয়েছিল বাফটা ও অস্কার। ‘টুয়েলভ ইয়ারস এ স্লেভ’ সিনেমাকে সেরা সিনেমা হিসেবে পুরস্কৃত করেছিল যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমি।

বেশি ভোট যে সিনেমা পাবে, বাফটা সেই সিনেমাকেই করবে সেরা। এটা বাফটার পরিচালনা পদ্ধতি। কিন্তু অস্কারের বিচার পদ্ধতি কিছুটা জটিল। বেশি ভোট পেলেও কোনো সিনেমা সেরা নাও হতে পারে অস্কারে। পুরস্কার দেয়ার কারণে ঐক্যমতে পৌছানোকে বেশি গুরুত্ব দেয় অস্কার। এক্ষেত্রে মূল বিষয়ের সঙ্গে বিবেচনা করা হয় আনুসাঙ্গিক অনেক কিছুই।

‘থ্রি বিলবোর্ডস আউটসাইড এবিং, মিজৌরি’ সিনেমায় রয়েছে এমন কিছু বিষয়, যা যুক্তরাষ্ট্রে নেতিবাচক। তাই ছবিটি ডানকার্ক, গেট আউট, দ্য শেপ অব ওয়াটার ছবিগুলোর চেয়ে থাকতে পারে পিছিয়ে।

শেষ দশ বছরে বাফটা ও অস্কারের পুরস্কার প্রদানে মিলে গেছে ৬০ শতাংশ। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র একাডেমি একই সিনেমাকে দিয়েছে সেরার স্বীকৃতি। ছবিগুলো হলো ‘স্লাম ডগ মিলয়নিয়ার’ (২০০৯), ‘দ্য হার্ট লকার’ (২০১০), ‘দ্য কিংস স্পিচ’ (২০১১), ‘দ্য আর্টিস্ট’ (২০১২), ‘আর্গো’ (২০১৩), ‘টুয়েলভ ইয়ারস এ স্লেভ’ (২০১৪)।

বিজ্ঞাপন

১৮ ফেব্রুয়ারি বাফটায় হেরে গেছে ‘কল মি বাই ইউর নেম’, ‘ডার্কেস্ট আওয়ার’, ‘ডানকার্ক’ এবং ‘দ্য শেপ অব ওয়াটার’। কিন্তু অস্কারে কামড় বসাতে ওৎ পেতে আছে সিনেমাগুলো। এক্ষেত্রে ‘ডার্কেস্ট আওয়ার’ ও ‘ডানকার্ক’-এর জেতার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। একই সঙ্গে ‘গেট আউট’ সিনেমারও রয়েছে বড় সম্ভাবনা।

অ্যামেরিকান একাডেমি নাকি ধীর গতিতে হলেও পরিবর্তন হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি’র এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট লিসো বলছেন, ‘জাতিগত সংখ্যালঘুদের অনেকেই যুক্ত হয়েছে অস্কারের সদস্য হিসেবে। নতুন এই ভোটারদের সিদ্ধান্ত অনেক ধারণাই পাল্টে দিতে পারে।’

২০১৮ তে নাকি অনেক কিছুই হয়েছে পরিবর্তন। চার অভিনয়শিল্পীকে পুরস্কৃত করেছে দ্য ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ড, স্ক্রিন অ্যাকটর্স গিল্ড অ্যাওয়ার্ড, গোল্ডন গ্লোব এবং বাফটা। এতে কিছুটা ধারণা করা যায় একটা কোথাও ঐক্য আছে পুরস্কার প্রদান কমিটিগুলোর।

এই সূত্রে অবাক হতে হবে যদি গ্যারি ওল্ডম্যান, ফ্রান্সিন ম্যাকডরম্যান্ড, স্যাম রকওয়েল এবং অ্যালিসন জেনি অস্কার না পান।

এটা বলা কঠিন, বাফটায় গিয়ের্মো দেল তোরোর কাছে অন্য সব পরিচালকের হেরে যাওয়ার পর, অস্কার উঠবে কি না ক্রিস্টোফার নোলানের হাতে। অভিজ্ঞ বোদ্ধারা অবশ্য তাই মনে করছেন।

সারাবাংলা/পিএ/টিএ  

অস্কার বাফটা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর