শিল্পকলায় ২১ দিনের ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’
৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:১২
শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। ৩ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই আয়োজন চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের বেশি শিল্পী ও শতাধিক সংগঠন ২১ দিনের এই বিশাল আয়োজনে অংশ নিচ্ছে।
উৎসবে বিভিন্ন পরিবেশনার মধ্যে থাকছে সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকজ খেলা, পালা, একক সংগীত, বাউল সংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য, যাত্রা, সমবেত নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, পুতুল নাট্য, একক আবৃত্তি, শিশুদের পরিবেশনা, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগীত ও নৃত্য, নাটকের কোরিওগ্রাফি, বৃন্দ আবৃত্তি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি সম্প্রদায়ের পরিবেশনা, আঞ্চলিক ও জেলা ব্রান্ডিং বিষয়ক সংগীত ও নৃত্য এবং জেলার ঐতিহ্যবাহী ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী।’
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল ৫ টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উদ্বোধন হয় এই উৎসবের। আবহাওয়াজনিত কারনে পূর্বনিধারিত উদ্বোধনী আয়োজন একাডেমির নন্দনমঞ্চ থেকে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে স্থানান্তর করা হয়। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান এবং উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি।
উদ্বোধনি বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যতবার এই মঞ্চে দাঁড়াই ততবারই জাতির পিতার কথা মনে পড়ে। কারণ তিনি এই শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। বছরের প্রথমেই এই উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে। এরপর আমরা ৬৪টি জেলায় সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করবো। ঢাকায় সর্বশেষ উৎসব হবে। এভাবে সকল জেলা উপজেলায় সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘জাতি গঠনের মূল ভিত্তি আমাদের সংস্কৃতি। বর্তমান বিশ্বে চীনের যে উত্থান, তার পটভূমি কিন্তু সাংস্কৃতিক বিপ্লব। এই বাংলার বাইরে সারা বিশ্বে আমাদের সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে আছে। আজকের যে স্বাভাবিকতা, স্বাধীনতা আমরা ভোগ করছি এর কারণ আমরা বাঙ্গালি হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছি।’
যন্ত্রসংগীত শিল্পী কাজী হাবলুর পরিচালনায় ‘জয়বাংলা, বাংলার জয়’ গানটির সাথে যন্ত্রসংগীতের মধ্যদিয়ে উদ্বোধনী পরিবেশনা শুরু হয়। নৃত্য পরিবেশন করে একাডেমির শিল্পীরা। প্রথমদিনে উদ্বোধনী আয়োজনের পর শুরু হয় ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ জেলার পরিবেশনা। সবশেষে ছিল ঝিনাইদাহ যাত্রাদলের যাত্রাপালা।
উৎসবে প্রতিদিন ৩টি জেলা, ৩টি উপজেলা, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা থাকবে। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হবে। লোকনাট্য উপভোগ করতে টিকিট বুকিংয়ের জন্য ভিজিট করতে হবে facebook.com/shilpakala।