বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবে কুড়িগ্রামের লোকনাট্য ‘কুশান পালা’
৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:৩০
জমজমাট আয়োজনে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হলো এই উৎসবের।
আগামী ৩ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে তিনটি জেলা, তিনটি উপজেলা, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হচ্ছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) এই আয়োজনের তৃতীয় দিন। আজ বিকেল ৪টা থেকে একাডেমি প্রাঙ্গণ নন্দনমঞ্চে থাকবে কুড়িগ্রাম, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। রাত ৮টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনীর বিনিময়ে কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘কুশান পালা’ অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল (শনিবার) উৎসবের দ্বিতীয় দিনে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠানের শুরুতেই জামাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ‘জব্বারের বলিখেলা’। এতে চ্যাম্পিয়ন হন তরিকুল ইসলাম জীবন। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিকেল ৫টা থেকে নন্দনমঞ্চে জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় প্রথমে জয়পুরহাট, পরে রাজশাহী এবং শেষে কুমিল্লা জেলার শিল্পীরা পরিবেশন করেন একক ও সমবেত গান, নৃত্য ও যন্ত্রসঙ্গীত। এছাড়া প্রতিটি জেলার পরিবেশনা শেষে জেলা ব্রান্ডিংয়ের ওপর ভিডিও পরিবেশনা দেখানো হয়। তৃতীয় বা শেষ পর্যায়ে একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিমেয়ে অনিুষ্ঠিত হয় আলতাফ হোসেনের পরিচালনায় রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী আলকাপ: ‘নারী পুরুষ দ্বন্দ্ব’।
দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের বেশি শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ২১ দিনব্যাপী একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ পরিচালিত হবে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০ লোকনাট্য