যন্ত্রসংগীতের প্রসারে নতুন উদ্যোগ ‘লহরী’
৫ জানুয়ারি ২০২০ ২১:০৮
শাস্ত্রীয় সংগীতের যথাযথ চর্চা ও প্রচার-প্রসার আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ও শিকড়ের সন্ধান করতেও শাস্ত্রীয় সংগীতের বিকল্প নেই। আর এই শাস্ত্রীয় সংগীতের অন্যতম একটি অংশ যন্ত্রসংগীত। এর মাধ্যমে শাস্ত্রীয় সংগীতের চর্চা ও বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে যন্ত্রসংগীতের সংগঠন ‘লহরী’।
নতুন এই সংগঠনের প্রধান উদ্যোক্তা শুক্লা হালদার। এই আয়োজন ও সংগঠন নিয়ে সারাবাংলাকে তিনি জানালেন, ‘আমাদের স্বপ্ন আগামীতে এটাকে আরও বড় পরিসরে আয়োজন করার। এর মাধ্যমে যন্ত্রসংগীতের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম আমরা তৈরি করতে পারব। এটি যেহেতু প্রথম আয়োজন, তাই একেবারে ছোট্ট পরিসরে। আমাদের চিন্তাটা হচ্ছে, যেহেতু এটা একটা সাহসী পদক্ষেপ, তাই আগে ছোট করেই শুরু করছি। প্রতি তিন মাস অন্তর এই আয়োজন করা হবে।’
শুক্লা হালদার আরো বললেন, ‘আসলে আমাদের দেশে যন্ত্রসংগীতের চর্চাটা সেভাবে হয়না। আমরা যন্ত্রে শুদ্ধসংগীত চর্চাকে প্রাধান্য দিয়েই আগাব। তাই এই অনুষ্ঠানে শুধুই যন্ত্রসংগীত। প্রথম অনুষ্ঠানে চারটা বাদ্যযন্ত্র রাখা হয়েছে। আগামীতে বাঁশি, বেহালা সহ দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যারা যন্ত্রসংগীত নিয়ে চর্চা করেন, আমাদের ইচ্ছা তাদেরকেও এখানে যুক্ত করা।’
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের ছয় তলার বক্তৃতা কক্ষে প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হবে ‘লহরী’র। পরিবেশিত হবে এস্রাজ, সারেঙ্গী, সেতার ও তবলাবাদন। বাজাবেন পাঁচ জন গুণী যন্ত্রশিল্পী— সেতারে মেহেরীন আলম ও রিংকু’র যুগলবন্দি, এস্রাজে শুক্লা হালদার, সারেঙ্গীতে শৌণক দেবনাথ ঋক ও তবলায় অঞ্জন সরকার। শিল্পীরা সবাই ‘বেঙ্গল পরম্পরা’র বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী।