বঙ্গবন্ধু ও তাঁর বাঘ নিয়ে নাটক ‘বাঘ’
৬ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:৪৩
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে নাট্যদল ‘দৃশ্যকাব্য’র নতুন নাটক ‘বাঘ’। এটি হবে নাটকটির তৃতীয় প্রদর্শনী।
এক বন্ধ ঘরে বন্দী দেখা পেয়েছিল এক বাঘের। মাটির নিচের বন্ধ ঘর, সেখানে বাঘের গর্জন শুনতে পায় সে, টের পায় অদৃশ্যে বাঘটার রাজকীয় চলন। ধাঁধা জাগে মনে, জানতে চায় বাঘ-রহস্যের সবটুকু।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রীয় সফরে বান্দরবন গিয়েছিলেন। তখন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক নেতা বঙ্গবন্ধুকে উপহার দিয়েছিলেন একটি বাঘের বাচ্চা, যা ঢাকা চিড়িয়াখানাকে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শহীদ হলে বঙ্গবন্ধু দেওয়া সেই বাঘটির ঠাঁই হয়েছিল ঢাকা চিড়িয়াখানার মাটির নিচের এক বদ্ধ কারাগারে। বছরের পর বছর অবর্ণনীয় কষ্ট সইতে হয়েছিল বাঘটিকে। কেননা, বাঘটি ছিল বঙ্গবন্ধুর বাঘ।
১৯৯০-৯১ সালের দিকে হাইকোর্টে রিট মামলা হয়েছিল বাঘটির মুক্তি চেয়ে আর সেই খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক সংবাদ পত্রিকায়।
বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার একদা চলমান প্রচেষ্টার সময়কার গল্প এটি। বন্দী আর বাঘের গল্পটার শুরু তখন, যখন এই দেশে বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়া ছিল নিষিদ্ধ। আইন করে বন্ধ করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। ধ্বংস করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি, বঙ্গবন্ধুর সাথে সম্পর্কিত যা কিছু। লিখিত দলিল ধ্বংস হয়েছে দেদারসে, তাই সত্যিকারের বাঘটার মতোই দেখা মেলে না কাগজে কলমে অনেক কিছুরই। তবে বাঘটার গর্জন যেমন কাঁপিয়ে তুলেছিল বন্ধ কারাগার, একইভাবে মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু ফিরে এসেছেন আমাদের কাছে। আমরা কি টের পাচ্ছি? পাচ্ছি কি?
নাসরিন মুস্তাফার রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন আইরিন পারভীন লোপা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এইচ এম মোতালেব, শাকিল আহমেদ, তাসমী চৌধুরী, শুভসীষ দত্ত তন্ময়, রোমেল শাহ্, সৈয়দ কালিমুল্লাহ, আলিনুর, শরিফুল ইসলাম মামুন ও আল ইমরান। আবহসংগীতে ইয়াসমিন আলী, গানের কথা ও সুর করেছেন লিয়াকত আলী লাকী। সংগীত পক্ষেপনে আরমান হোসেন সময়, আলোক পরিকল্পনায় অম্লান বিশ্বাস, প্রচ্ছদ দিব্যেন্দু উদাস ও প্রযোজনা সমন্বয়কারী মনিরুল ইসলাম বেলাল।