আইনি জটিলতায় জেনিফার লোপেজ
৯ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:২৭
‘হাসলারস’ এর জন্য আইনি জটিলতায় পড়েছেন হলিউড তারকা জেনিফার লোপেজ। দারুণ ব্যবসাসফল এই চলচ্চিত্রের ‘র্যামোনা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। যার অনুপ্ররণায় এই চরিত্র সৃষ্টি সেই সামান্থা বারব্যাশ নির্মাতাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন।
সামান্থার অভিযোগ, ‘হাসলারস’ চলচ্চিত্রের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসটিএক্স ফিল্মস এবং লোপেজের নিওরিক্যান প্রোডাকশনস তার জনপ্রিয়তা ব্যবহার করেছে। এছাড়াও মানহানির অভিযোগে ৪০ মিলিয়ন ডলারের আইনি নোটিশ পাঠান তিনি।
এর জবাবে এসটিএক্স ফিল্মসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা প্রকাশ্য নথি অনুযায়ী সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই চলচ্চিত্র বানিয়েছেন।
‘হাসলারস’ চলচ্চিত্রটির কাহিনী কাল্পনিক হলেও এটি বারব্যাশ এবং অন্য কয়েকজন নারীর জীবনের ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে যারা স্ট্রিপ ক্লাবে ধনী পুরুষদের ড্রাগের মাধ্যমে প্রতারণা করত। ২০১৫ সালে নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলের উপর ভিত্তি করে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে বারব্যাশ এই প্রতারক দলের নেতৃত্বে ছিলেন। ষড়যন্ত্র, লাঞ্ছনা এবং বড় বড় অপহরণের জন্য তাকে পাঁচ বছরের জন্য প্রবেশনে রাখা হয়। কিন্তু বারব্যাশের দাবি, চলচ্চিত্রটির নির্মাতারা তার কাছে স্বত্ব কিনতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন যে তাকে খুব কম টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়া ‘হাসলারস’ চলচ্চিত্রটি সারা বিশ্বে ১৫৭ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে। ছবিটির ‘র্যামোনা’ চরিত্রের জন্য গোল্ডেন গ্লোবে মনোনয়ন পান জেনিফার লোপেজ। লোপেজ এই চরিত্রটিকে “unapologetically savage” হিসেবে বর্ণনা করেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের কাছে বারব্যাশ দাবি করছেন যে লোপেজ তার চরিত্রটিকে ভুলভাবে চিত্রায়ন করেছেন এবং তিনি কোনদিনই স্ট্রিপার ছিলেন না।
নিউইয়র্ক পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযোগ পত্রে লেখা হয়েছে, যারাই এই চলচ্চিত্রটি দেখবে তারা বাদিকে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে দেখবেন যার কোন নীতি-নৈতিকতা নেই, সহকর্মীদের প্রতি অবিশ্বস্ত, কঠিন ধরণের মাদক গ্রহণ করে এবং যিনি পুরুষদেরকে ঘৃণার চোখে দেখেন।
বারব্যাশের আইনজীবী ব্রুনো ভি জিওফ্রি জুনিয়র রোলিং স্টোনকে বলেন, তার মক্কেলের চরিত্র হরণের মাধ্যমে বিবাদী পক্ষ ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি টাকা উপার্জন করেছে। তারা মাত্র ৬ হাজার ডলারের বিনিময়ে তার চরিত্র স্বত্ব কেনার চেষ্টা করে।
বারব্যাশ তার টুইটার একাউন্টে অভিযোগপত্রের ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘এটা সত্যি।’
এসটিএক্স ফিল্মসের একজন মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াকে বলেন, তারা এখনো অভিযোগ পত্রটি দেখেননি। তিনি আরও বলেন যে তারা ‘পাবলিক রেকর্ডে’র উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্প বলে যাবেন। অন্যদিকে জেনিফার লোপেজের মালিকানাধীন নিওরিক্যান প্রোডাকশনস কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।