Sunday 14 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিল্পকলায় আজ লাঠিখেলা, খাইরুন সুন্দরীর পালা ও ঘেঁটুগান


১০ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:৩০ | আপডেট: ৯ জানুয়ারি ২০২০ ২২:২৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জমজমাট আয়োজনে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হলো এই উৎসবের।

গত ৩ জানুয়ারি থেকে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে তিনটি জেলা, তিনটি উপজেলা, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হচ্ছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এই আয়োজনের অষ্টম দিন। আজ বিকেল ৩টা থেকে একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী ‘মানিক গঞ্জের লাঠিখেলা’। বিকেল ৪টা থেকে নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হবে চুয়াডাঙ্গা, যশোরা ও নড়াইল জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাত ৮টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনির বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘খাইরুন সুন্দরীর পালা ও ঘেঁটুগান’ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন

গতকাল (বৃহস্পতিবার) উৎসবের সপ্তম দিনে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। এদিন বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিলেন ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলার শিল্পীরা। জেলার পরিবেশনার আগে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। ঢাকা জেলার পরিবেশনায় প্রথমেই জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। এরপর সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ঢাকা জেলার শিল্পীরা। এছাড়াও নৃত্য পরিচালক র‌্যাচেল প্রিয়াংকা প্যারিস, ওয়ার্দা রিহাব, লিখন রায়ের পরিচালনায় নৃত্য এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নৃত্যশিল্পী শুসমী, মেহজাবীন ও শৈলি’র পরিবেশনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশিত হয়।

সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে ঢাকা জেলা শিল্পীরা এবং সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী মো. টিপু চৌধুরী, মো. সেলিম, অনিমা মুক্তি গোমেজ, কেয়া চৌধুরী, উজ্জ্বল দেওয়ান এবং শিশুশিল্পী প্রত্যয়। তামান্না তিথির পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে কল্পরেখা। একক আবৃত্তি করেন শিল্পী আহকামউল্লাহ। এছাড়াও যাদুশিল্পী রানার পরিচালনায় যাদু প্রদর্শনী করে বাংলাদেশ আওয়ামী যাদুশিল্পী পরিষদ। ঢাকা জেলার পরিবেশনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।

মানিকগঞ্জ জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীতে পরিবেশনায় ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী রোমানা ইসলাম এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী বিউটি আচায্য। যন্ত্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুনীল কুমার সাহা, সীমান্ত, প্রত্যয় গুহ ও নিরঞ্জন।

একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিময়ে মানিকগঞ্জের ‘ভাই ভাই অপেরা’র পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হয় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য রয়ানী পালা ‘চম্পাবতী ও গাজীকালুর পালা’। তারা মোল্লা’র রচনায় এটি পরিচালনায় ছিলেন আকবর খান।

দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ২১ দিনব্যাপী একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ পরিচালিত হবে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর