বাংলাদেশ উৎসবে আজ দিনাজপুরের ‘পালাটিয়া’
১২ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:৩০
জমজমাট আয়োজনে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমূখী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবের।
৩ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে ৩টি জেলা, ৩টি উপজেলার সাথে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হচ্ছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) এই আয়োজনের দশম দিন। বিকেল ৪টা থেকে নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হবে মাদারীপুর, রংপুর ও পাবনা জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাত ৮ টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনির বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য দিনাজপুরের ‘পালাটিয়া’ অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) উৎসবের অষ্টম দিনে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। এদিন বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিলেন নীলফামারী ও রাঙ্গামাটি জেলার শিল্পীরা। জেলার পরিবেশনার আগে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা। এরপর সাজিদ আকবরের পরিচালনায় সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে গীতাঞ্জলি। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে সৈয়দা শায়লা আহমেদ লীমা’র পরিচালনায় ভঙ্গিমা ডান্স থিয়েটার এবং তামান্না রহামানের পরিচালনায় নৃত্যম নৃত্য সংগঠন।
নীলফামারী জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীতে পরিবেশনায় ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী নৌশিন তাবাচ্ছুম স্বরণ এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী আমিনা রহমান বৈশাখী। যন্ত্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী রকিবুল আলম শাহীন, সুকুমার পাল, হৃদয় কুমার দে, সুরেশ চন্দ্র রায় ও ধ্রুব জ্যোতি পাল কাব্য।
রাঙ্গামাটি জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীতে পরিবেশনায় ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী শ্রী রনজিৎ দেওয়ান এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী রফিক আশিকী। যন্ত্রে পাহাড়ী সুর তোলেন শিল্পী মিলন ধর, সুবল বিশ্বাস, মঙ্গল বিকাশ চাকমা ও ধারস মনি চাকমা। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী শ্রী রনজিৎ দেওয়ান।
একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিময়ে মঞ্চস্থ হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় ঐতিহ্যবাহী বাউল গান।
দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ২১ দিনব্যাপী একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ পরিচালিত হবে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।