শিল্পকলায় সাংস্কৃতিক উৎসবে আজ লোকনাট্য ‘সোনাবানের পুঁথি’
১৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:০০
জমজমাট আয়োজনে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমূখী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবের।
৩ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে ৩টি জেলা, ৩টি উপজেলার সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হচ্ছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এই আয়োজনের ১৩তম দিন। বিকেল ৪টা থেকে নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হবে কিশোরগঞ্জ, বাগেরহাট ও গাজীপুর জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাত ৮ টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনীর বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘সোনাবানের পুঁথি’ অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) উৎসবের ১২তম দিনে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। এদিন বিভিন্ন পরিবেশনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি ও মাগুরা জেলার শিল্পীরা। জেলার পরিবেশনার আগে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের এবং কারিশমা সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনা। এরপর পরিবেশিত হয় ওয়ার্দা রিহাবের পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ধৃতি নর্ত্তনালয়, একক আবৃত্তি পরিবেশন করে শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে সরকারি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয় এবং একক সঙ্গীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশুদলের শিল্পী প্রতিক দাস।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও আলকাপ গম্ভীরা মিউজিকের সঙ্গে সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ইফফাত আরা নার্গিস ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সাইদুল ইসলাম রিপন। যন্ত্রে লহরার সুর তোলেন শিল্পী মো: ময়েজ হোসেন ও মাদরুল ইসলাম। ফারুক ফয়সালের ভাবনা ও পরিকল্পনায় এবং গৌরী চন্দ্র সেতু’র কোরিওগ্রাফিতে মঞ্চস্থ হয় গীতি আলেখ্য ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাপাইনবাবগঞ্জ- ১’র সংসদ সদস্য শামীল উদ্দিন আহমেদ শিমুল।
ঝালকাঠি জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীতে পরিবেশনায় ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী রতন দাস বাউল। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠী জেলা প্রশাসন’র সহকারী কমিশনার উন্মে কুলসুম রুবী।
মাগুরা জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীতে পরিবেশনায় ছিলেন শিল্পী এস এম বেবুল আক্তার। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী নায়েব আলী, সমর রায়, অজিত রায়, নিমাই মল্লিক, বিশ্বজিত, আশিক, শংকর এবং অজিত কুমার দাস।
একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিময়ে মঞ্চস্থ হয় আব্দুল রাজ্জাক এর পরিচালনায় চাপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ‘গম্ভীরা’।
দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ২১ দিনব্যাপী একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ পরিচালিত হবে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।