বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই প্রথম ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে ছাড়পত্র পেল গাজী রাকায়েত রচিত ও পরিচালিত ‘The Grave’। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে অনুদানপ্রাপ্ত ছবিটির বাংলা নাম ‘গোর’৷
একই চলচ্চিত্র দু’টি ভাষায় নিমির্ত হওয়ার ঘটনাটিও আমাদের দেশের জন্য প্রথম। আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে দু’টি চলচ্চিত্রের জন্য আলাদা আলাদা সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়া হয় বুধবার (১৫ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টায় বিএফডিসির মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে।
‘গোর’ ও ‘The Grave’ চলচ্চিত্র দু’টির সেন্সর ছাড়পত্র প্রযোজক গাজী রাকায়েত ও ফরিদুর রেজা সাগরের হাতে তুলে দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র দু’টির শিল্পী-কলাকুশলী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রটির অনুবাদক আব্দুস সেলিম, প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নিজামূল কবীর।
অনুষ্ঠানে খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘ছোটবেলায় নাজ ও শাহীন সিনেমা হলে ইংরেজি ছবি দেখতাম। এখন গাজী রাকায়েত ভাই প্রথম বাংলাদেশের ইংরেজি ছবি বানালেন। এটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। তিনি ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন।’
মুশফিকুর রহমান গুলজার শুভকামনা জানিয়ে বলেন, ‘আমি ছবিটি না দেখলেও এর চিত্রনাট্য পড়েছি। মানুষের সত্যিকারের জীবন তুলে আনা হয়েছে এত অসাধারণভাবে যা দর্শকদের নতুন অভিজ্ঞতা দেবে বলে আমার বিশ্বাস।’
২০১৫ সালে গাজী রাকায়েত ছবিটির নির্মাণের ঘোষণা দেন। এরপর ২০১৭-১৮ সালে অনুদানপ্রাপ্তির পর ছয় মাসের প্রস্তুতির পর শুরু হয় শুটিং। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি ছবিটি বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় নির্মাণের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র পায়। সে আলোকে বুধবার সেন্সর বোর্ড সেন্সর ছাড়পত্র দেয়।
‘গোর’ চলচ্চিত্রের কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন গাজী রাকায়েত। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত, মৌসুমী হামিদ, সুষমা সরকার, শামীমা তুষ্টি, দিলারা জামান, মামুনুর রশীদের মতো পরিচিতমুখ।
ছবিটি প্রযোজনা করেছে চারুনীড়ম অডিও ভিজ্যুয়াল ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।