সাংস্কৃতিক উৎসবে আজ লোকনাট্য ‘অস্টক পালা’
১৬ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:৪০
জমজমাট আয়োজনে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমূখী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবের।
৩ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে ৩টি জেলা, ৩টি উপজেলার সাথে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই আয়োজনের ১৪তম দিন। বিকেল ৪টা থেকে নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হবে ভোলা, সুনামগঞ্জ ও ঝিনাইদহ জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাত ৮ টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনির বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘অস্টক পালা’ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) উৎসবের ১৩তম দিনে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। এদিন বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিলেন কিশোরগঞ্জ, বাগেরহাট ও গাজীপুর জেলার শিল্পীরা। জেলার পরিবেশনার আগে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা। এরপর পরিবেশিত হয় মিনু হকের পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে পল্লভী ডান্স থিয়েটার এবং মাহিদুল ইসলাম মাহি’র পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে স্বরচিত্র আবৃত্তি সংগঠন।
কিশোরগঞ্জ জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও আলকাপ গম্ভীরা মিউজিকের সাথে সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী আবুল হাসেম ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সাথী রানী দাস। জেলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনায় উপমহাদেশের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রবতীর নাট্যাংশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাগেরহাট জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীতে পরিবেশনায় ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী শামীম হাসান এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সসীম মজুমদার। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ইউসুফ, তনু হালদার, সসীম মজুমদার ও নাহিয়ান বাপ্পি। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম এবং বাচিক শিল্পী মাহিদুল ইসলাম মাহি।
গাজীপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মিনা বড়ুয়া এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী আতিকুর রহমান। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী সুভাষ রায়, লোকমান ও বিল্লাল। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসন-১৩’র সংসদ সদস্য শামছুন্নাহার ভূঁইয়া।
একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিময়ে মঞ্চস্থ হয় মোঃ বিল্লাল হোসেন এর পরিচালনায় এবং গাজীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী ‘সোনাভানের পুঁথি’।
দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ২১ দিনব্যাপী একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ পরিচালিত হবে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।