Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিল্পকলায় সাংস্কৃতিক উৎসবে আজ লোকনাট্য ‘গাজী কালুর কিচ্ছা’


১৭ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:০০

জমজমাট আয়োজনে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমূখী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবের।

৩ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে ৩টি জেলা, ৩টি উপজেলার সাথে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এই আয়োজনের ১৫তম দিন। বিকেল ৪টা থেকে নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হবে হবিগঞ্জ, খুলনা, দিনাজপুর ও নেত্রকোনা জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাত ৮ টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনির বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘গাজী কালুর কিচ্ছা’ অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) উৎসবের ১৪তম দিনে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। এদিন বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিলেন ভোলা, সুনামগঞ্জ ও ঝিনাইদহ জেলার শিল্পীরা। জেলার পরিবেশনার আগে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা। এরপর আজহারুল হক আজাদের পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে ‘বাক শিল্পাঙ্গন’।

ভোলা জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও আলকাপ গম্ভীরা মিউজিকের সাথে সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মঞ্জুর আহমেদ ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী রেহানা ফেরদৌস। দেশের গানে যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী ভাস্কর চন্দ্র মজুমদার, মীর আনোয়ার, নিলয় ও ইমন। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি নাসির আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

সুনামগঞ্জ জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীতে পরিবেশনায় ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী পাগল হাসান এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী শিল্পী মাকসুদুর রহমান দিপু। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী রশিদ উদ্দিন, আলী আকবর, কপিল ঋষি ও অমিত বর্মণ। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: শামছুল আবেদীন।

সাতক্ষীরা জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী এবং সমবেত যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

সবশেষে ঝিনাইদহ জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সমবেত সঙ্গীত, সমবেত নৃত্য, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পীর পরিবেশনায় একক সঙ্গীত এবং যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিময়ে মঞ্চস্থ হয় সুকলাল মন্ডল এর পরিচালনায় এবং আলালপুরের রাজবাগ অষ্টকদলের পরিবেশনায় অষ্টক পালা ‘চন্ডিদাস রজকীনি, অভিমন্যু বর, হালই গান’।

দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ২১ দিনব্যাপী একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ পরিচালিত হবে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর