Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাংস্কৃতিক উৎসবে আজ টাঙ্গাইলের ‘সংযাত্রা’


২২ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:০০

জমজমাট আয়োজনে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমূখী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবের।

৩ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে ৩টি জেলা, ৩টি উপজেলার সাথে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হচ্ছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) এই আয়োজনের ২০তম দিন। বিকেল ৪টা থেকে নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হবে নারায়নগঞ্জ, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও ও টাঙ্গাইল জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাত ৮ টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনির বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য টাঙ্গাইলের ‘সংযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) উৎসবের ১৯তম দিনে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। এদিন বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিলেন লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও লালমনিরহাট জেলার শিল্পীরা। জেলার পরিবেশনার আগে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, একাডেমির সেতার বাদক শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত যন্ত্রসঙ্গীত, ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা। এরপর সুলতানা হায়দারের নৃত্য পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে সুকন্যা বৃত্যাঙ্গন । মাসুদুজ্জামান এর পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে আবৃত্তি সংগঠন ‘শ্রোত’।

বিজ্ঞাপন

লক্ষ্মীপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও আলকাপ গম্ভীরা মিউজিকের সাথে সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ইদ্রিস আনোয়ার পরান এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী শিমুল পাটোয়ারী। সমবেত যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী হোসেন বয়াতী, দিলীপ দাস ও ওমর ফারুক মুরাদ।

চাঁদপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। সমবেত যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী বাবুল কৃষ্ণ বিশ্বাস, পরিমল দাস নুপুর, শ্রভ্র রক্ষিত, আবদুল বাতেন ও মোনায়েম হোসেন অন্তু। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী এস ডি রুবেল এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী রূপালী চম্বক। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব শহীদ পাটোয়ারী।

লালমনিরহাট জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। সমবেত যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী মুকুল চন্দ্র রায়, মাসুদ, নিপেন চন্দ্র রায় ও নরেশ চন্দ্র রায়। একক সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী শিলাজাম মুনিরা পাখী এবং পূর্ণ চন্দ্র রায়।

একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিময়ে মঞ্চস্থ হয় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য কাজল দেওয়ান ও তার দলের পরিবেশনায় কবিগান ‘কাম আর প্রেম’।

দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ২১ দিনব্যাপী একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ পরিচালিত হবে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর