আজ সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী
২৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:০০
জমজমাট আয়োজনে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমূখী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবের। আজ তার সমাপনী।
৩ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে জেলা ও উপজেলার সাথে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এই আয়োজনের শেষদিন। বিকেল ৪টা থেকে নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হবে বরগুনা, মুন্সিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাত ৮ টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনির বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য সুনামগঞ্জের ‘ধামাইল’ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) উৎসবের ২০তম দিনে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। এদিন বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিলেন নারায়নগঞ্জ, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও ও টাঙ্গাইল জেলার শিল্পীরা। জেলার পরিবেশনার আগে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রমের উপরে প্রমো প্রদর্শন। একক সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সুফি। অনিক বোসের পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য সংগঠন স্পন্দন। আহকামউল্লাহ’র পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে আবৃত্তি সংগঠন ‘স্বরশ্রুতি’।
ঠাকুরগাঁও জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও আলকাপ গম্ভীরা মিউজিকের সাথে সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী শুরুবালা রায়। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী কায়সার আলী রুবেল, খায়রুল হাসান, পলাশ চন্দ্র রায়, নয়ন কিশোর রায় এবং জ্যাতিরাজ বর্মণ।
গাইবান্ধা জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। সমবেত যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী তুলসী সাহা, মিজানুর রহমান মিলন, মো. আব্দুল্লাহ আল ফাহাত, সৈকত এবং রাগিব হাসান। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ওয়াফি রহমান অনন্যা এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী নিগার নাইম তমা। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি।
নারায়নগঞ্জ জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। সমবেত যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী সবুজ আহমেদ, শান্ত আহমেদ ও কামরুল আহমেদ। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী নুসরাত জাহান বৃষ্টি এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সানজিদা নাহার বেলা।
টাঙ্গাইল জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী আবু বকর সিদ্দিকী এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী নৈঝিতা হালদার। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী শাসুজ্জামান দারু, বাচ্চু আহমেদ, মঙ্গল সেন, মোঃ লাভলু ও সিহাব।
একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিময়ে মঞ্চস্থ হয় মহাদেব সঙযাত্রাদল, টাঙ্গাইল’র পরিবেশনায় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘বস্তা, উকিল ও পিঠা’।
দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ২১ দিনব্যাপী একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ পরিচালিত হচ্ছে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।