দুই দশকে ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’
২৯ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:২৫
তখন সবেমাত্র নতুন শতাব্দী শুরু হয়েছে। দেশের অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যান্ড দলগুলোর একচ্ছত্র আধিপত্য। এর মাঝে একদিন বিভিন্ন অলিগলির ফিতার ক্যাসেটের দোকানগুলোতে বেজে উঠলো গান- ‘বুকের জমানো ব্যাথা/কান্নার নোনাজলে/ঢেউ ভাঙে চোখের নদীতে/অন্যের হাত ধরে চলে গেছো দূরে/পারিনা তোমায় ভুলে যেতে/ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়?’– এমন কথা ও সুর প্রেমিক হৃদয়গুলো হাহাকার তুললো। দোকানে দোকানে পরলো বিশাল লাইন।
‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ অ্যালবামটি বাংলাদেশের অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে এক মাইলফলকের নাম। এর মাধ্যমে অডিও ইন্ডাস্ট্রি পেয়েছে আসিফ আকবর নামের এক শিল্পীকে। যিনি পরবর্তী একটা লম্বা সময় জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন।
২০০১ সালের ২৯ জানুয়ারি ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ অ্যালবামটি প্রকাশিত হয় মোট বারোটি গান নিয়ে। ইথুন বাবুর কথা ও সুরের অ্যালবামটি প্রায় ৬০ লাখ কপির মতো বিক্রি হয়। এর আগে পরে বহু ক্যাসেট ২০, ৩০ লাখ অহরহ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’র রেকর্ড কেউ ভাঙ্গতে পারেনি।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাতকারে আসিফ বলেছিলেন, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’র পরে তার সবচেয়ে হিট গান ‘সাবাশ বাংলাদেশ’। কিন্তু সেটিও ‘ও প্রিয়া’র রেকর্ড ভাঙ্গতে পারেনি।
অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে থেকেই আসিফ প্লে-ব্যাক করলেও অ্যালবামটির পর তিনি অডিও এবং প্লে-ব্যাকে তার একচেটিয়া রাজত্ব শুরু হয়। পাঁচ বছরের বেশি সময় তখনকার সবচেয়ে বড় অডিও কোম্পানি সাউন্ডটেক একটানা তার অ্যালবাম প্রকাশ করে যায়।
গানটির তুমুল জনপ্রিয়তায় শাহাদাত হোসেন লিটন নির্মাণ করেন একই শিরোনামে ছবি। ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি ওই বছরের সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা ছবি। ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন রিয়াজ ও শাবনুর।