এক মিনিটের টিজারটি চলচ্চিত্রের সমঝদার দর্শকদের ভাবনার খোড়াক যোগাবে। কেন, কি জন্য এ প্রশ্নগুলো মনে ঘুরপাক খাবে। ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ ছবির রহস্যে ঘেরা টিজার উন্মুক্ত হয়েছে। এটি দেখে আপনার একবার মনে হবে সায়েন্স ফিকশন, আরেকবার ভৌতিক ছবি। তবে পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বেশ মুন্সিয়ানার সাথে এর উত্তর দেননি টিজারে।
ক্যামেরার ফ্রেমে বিরাট এক বালু চর। সে চরের মধ্যে গর্ত মত একটি জায়গা থেকে এক নারী শোয়া থেকে উঠে আসছেন আর ব্যাকগ্রাউন্ডে শোনা যাচ্ছে ‘আমি অর্ধেকটা দম নিই, বাকিটা একসাথে নিবো বলে।’ একটু পরেই ওই নারী খুঁজছেন ‘সি নেগেটিভ’ রক্ত। বড় একটি ল্যাবে গবেষণারত দুজন বিজ্ঞানী যারা ডিএনএ’র রাসায়নিক গঠনের ভার্চুয়াল ইম্যুলেশন নিয়ে কথা বলছেন। পরক্ষণেই আবার সে বালু চর। সেখানে এবার বিফ্রকেস হাতে এক পুরুষের হেঁটে যাওয়া। রহস্যজনক সংলাপ, ‘মন খারাপ করো না, সবকিছু জেনে যাবার বাইরে কিছুটা তো অজানা থেকে যায়, যেমন আমাদের নিঃশ্বাসের রঙ।’ এরকমই ছিলো টিজারটি।
টিজারের উপস্থাপনা বলে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ সায়েন্স ফিকশন। আবার এর কালার টোন বলে ভিন্ন কথা। কিছুটা ভৌতিক। যা আরও দৃঢ় হয় টিজারের এক জায়গায় কবর থেকে ভূতুরে হাতের বেরিয়ে আসা দিয়ে।
‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’র প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শারলিন ফারজানা ও ইমতিয়াজ বর্ষণ। পরিচালনার পাশাপাশি ছবিটির কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য, শিল্পনির্দেশনা ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল নিজে। আসিফ হানিফের প্রযোজনায় নির্মাণ করেছে রেড অক্টোবর। নির্বাহী প্রযোজক সৈয়দা শাওন।
আগামী সপ্তাহে সেন্সরে জমা হবে ছবিটি। ফেব্রুয়ারিতে মুক্তির কথা রয়েছে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’র। তখন সকল রহস্যের অবসান হবে।