আজ শিল্পকলায় দেশ নাটক’র ‘নিত্যপুরাণ’
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:০০
আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আবার মঞ্চায়িত হচ্ছে দেশ নাটক’র ‘নিত্যপুরাণ’। মাসুম রেজা রচিত ও নির্দেশিত দেশ নাটকের ১৫তম প্রযোজনা ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় ২০০১ সালে। প্রথম মঞ্চায়নের পর দর্শক ও নাট্যবোদ্ধা মহলে বেশ আলোচিত ছিল প্রযোজনাটি।
মহাভারতের সাতটি চরিত্র—‘পঞ্চপাণ্ডব’, ‘দ্রৌপদী’ আর ‘দ্রোন’কে নিয়ে নতুন একটি আখ্যান রচনা করেছেন মাসুম রেজা। নিষাদরাজ হিরণ্যধনুর পুত্র একলব্যের কথা মহাভারতে প্রায় অনুল্লেখিত এবং ক্ষুদ্র একটি অংশ। কিন্তু নিম্নবর্ণের সন্তান একলব্য ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র। পঞ্চপাণ্ডবের সঙ্গে অস্ত্রশিক্ষা লাভের জন্য শিক্ষাগুরু দ্রোণাচর্যের কাছে গেলে নিচু জাত বলে একলব্যকে শিষ্য হিসেবে বরণ করেননি দ্রোণাচার্য। দ্রোণাচার্যের শিষ্য অর্জুন অর্থাৎ পঞ্চপাণ্ডব সর্যবনে ধনুর্বিদ্যায় একলব্যের কাছে পরাজিত হয়। অস্ত্র প্রতিযোগিতার শর্ত অনুসারে পঞ্চপাণ্ডব মৃত্যুর মুখোমুখি হয়। কিন্তু দ্রোণাচার্যের কুটিলতায় পঞ্চপাণ্ডবের জীবন বেঁচে যায়।
মাসুম রেজা মহাভারতের এই ক্ষুদ্র উপাখ্যানকে নাট্যরূপ দিয়ে মঞ্চে এনেছেন। এ প্রসঙ্গে নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা বলেন, ‘মহাভারত পাঠকালে একলব্যকে আমার খুব কাছের মানুষ বলে মনে হয়েছে, মনে হয়েছে এ যেন আমি, এ যেন আমরা, সাধারণ মানুষ। একলব্যকে আমার দেখতে ইচ্ছে হয়েছে অন্যভাবে, পাণ্ডব কিংবা কৌরবদের চেয়েও কুশলী বীররূপে’।
তিনি আরো বললেন, ‘নিত্যপুরাণ লিখতে গিয়ে যে বিষয়টির প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি তা হলো- এই নাটকটিকে আমি সময়-নিরপেক্ষ নাটক হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছি। অর্থাৎ আমি একইসঙ্গে মহাভারতের এবং এখনকার কথাও বলতে চেয়েছি। যদিও মহাভারত থেকে চরিত্রগুলো বের করে এনে নতুন একটি আখ্যান রচনা করেছি, কিন্তু নাটকে একসময় চরিত্রগুলো আবার মহাভারতের সঙ্গে মিলে যায়।’
‘নিত্যপুরাণ’ নাটকটি সন্ধ্যে ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে।