৭ দিনের উৎসবে ৩৭ পথনাটক
২ মার্চ ২০২০ ১৮:৫৯
‘যুদ্ধ মাসে কেটেছে আঁধার, ছড়িয়ে দাও শিল্পের অধিকার’ শ্লোগানে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী জাতীয় পথনাটক উৎসব ২০২০।
রোববার (০১ মার্চ) বিকেলে উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরার সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ এবং নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা।
বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের আয়োজনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নাট্যদলগুলোর অংশগ্রহণে ১ মার্চ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রদর্শিত হচ্ছে একাধিক পথনাটকের প্রদর্শনী।
এই উৎসবের প্রথম দিন (১ মার্চ) পরিবেশিত হয়েছে অপেরা নাট্যদলের ‘ভাসা ভাসা ভাষার কথা’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ভাস্কর্য’, ভিষন থিয়েটারের ‘প্রতিপক্ষ’, বাঙলা থিয়েটারের ‘বৃত্ত’।
দ্বিতীয় দিন (২ মার্চ) রয়েছে নাট্যধারার ‘পোস্টার’, চন্দ্রকলা থিয়েটারের ‘আজব বাক্স’, বৃত্ত নাট্যদলের ‘মুজিব কোট’, তেজগাঁও কলেজ থিয়েটারের ‘আমজনতা’, নারায়ণগঞ্জের সংশপ্তক নাট্যদলের ‘ক্ষ্যাপা পাগলার প্যাঁচাল’, সাত্ত্বিক নাট্য সংসদের ‘অতঃপর তাহারা’।
তৃতীয় দিন (৩ মার্চ) পরিবেশিত হবে গাজীপুরের মুক্তমঞ্চ নাট্যদলের ‘বৌ’, গাজীপুরের নাট্যভুমির ‘অতঃপর মুলতবি’, দ্যাশ বাঙলা থিয়েটারের ‘সংযাত্রা- সোনা হারের সোনা মিয়া’, থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘ক্ষ্যাপা পাগলার প্যাঁচাল’, কথক থিয়েটারের ‘ভ্রূণ’, নাট্যবেদের ‘জলদস্যু ও একজন জলধর’।
চতুর্থ দিন (৪ মার্চ) পরিবেশিত হবে রঙ্গপীঠ নাট্যদলের ‘খেয়াপাড়ের মাঝি’, নাট্যযোদ্ধার ‘বুদ্ধি’, প্রাচ্যনাটের ‘প্রজাপতির পালা’, মৈত্রী থিয়েটারের ‘এই দিন এই দিন’, ঝিনাইদহের বনলতা নাট্য সংসদের ‘নদাই’, উৎস্য নাট্যদলের ‘একাত্তরের ইবলিশ’।
পঞ্চম দিন (৫ মার্চ) মাদারীপুরের শুভাকাশ ইশারা নাট্যদলের ‘আদাব’, থিয়েটারের ‘প্রতিবিম্ব’, সিলেটের বিয়ানীবাজার সাংস্কৃতিক কমান্ডের ‘ক্যানভাস’, নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বলের ‘মুক্তিযোদ্ধার ডায়রী’, অনুস্বরের ‘বন্ধ ঘড়ি’, নরসিংদীর বাঙলা নাট্যমের ‘দখল’।
ষষ্ঠ দিন (৬ মার্চ) সুবচন নাট্য সংসদের ‘ বোধোদয়’, উৎস্য নাট্যদলের ‘পতাকায় বঙ্গবন্ধু’, আরণ্যক নাট্যদলের ‘জল ও জননীর গল্প’, পদাতিক নাট্য সংসদের ‘নুরু মিয়ার কিচ্ছা’, বগুরার নান্দনিক নাট্যদলের ‘চিত্তে আমার বঙ্গবন্ধু’, কুমিল্লা নাট্যদলের ‘দি ম্যাড’।
উৎসবের শেষ দিন (৭ মার্চ) পরিবেশিত হবে শৌখিন থিয়েটারের ‘দাম দিয়ে কিনেছি বাঙলা’, রাজশাহীর অনুশীলন নাট্যদলের ‘বুদেরামের কূপ যাত্রা’, থিয়েটার ফ্যাক্টরির ‘তালিকা’, অবয়ব নাট্যদলের ‘তোল আওয়াজ’।
ছবি: সুমিত আহমেদ