করোনাভাইরাসে বলিউড বক্স অফিসে ক্ষতি ২৫০ কোটি
৩ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৩৪
বলিউডের ২০২০ সালের শুরুটা ছিলো অনেক প্রত্যাশার। অনেকেই মনে করেছিলেন এ বছরটা বক্স অফিসে নতুন কিছু বেঞ্চমার্ক সৃষ্টি হবে। এর মধ্যে ছিলো নতুন বাজার তৈরি করা এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের ব্যবসা অন্য উচ্চতায় চলে যাবে। কিন্তু ইয়েস ব্যাংকের সাথে আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে সমস্যা, করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন—সবমিলিয়ে প্রথম তিন মাস বেশ উদ্বেগজনক। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছে কমপক্ষে ২৫০ কোটি টাকা।
প্রথম তিন মাসে বলিউড আয় করেছে ৭৭৮ কোটি রুপী। এর মধ্যকার বড় অংশটুকুন এসেছে অজয় দেবগনের ‘তানহাজি’ ছবি থেকে। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বাঘী সিরিজের তৃতীয় ছবি শতকের ঘরই পেরোতে পারেনি। লকডাউনের কবলে না পরলে ‘সূর্যবংশী’ মুক্তির কথা ছিলো। ছবিটি কমপক্ষে ১৭০ কোটি রুপী বক্স অফিসে যোগ করতে পারতো মার্চের শেষ সপ্তাহ নাগাদ।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ ‘কোভিড-১৯’র বৈশ্বিক মহামারীর কারণে ‘বাঘী ৩’ আয় করে মাত্র ৪০ কোটি রুপী। অন্যদিকে মুক্তির সময় অধিকাংশ সিনেমা হল আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ‘আংরেজি মিডিয়াম’ আয় করে মাত্র ৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। যেখানে তাদের প্রত্যাশা ছিলো ৩০ কোটি।
তবে বক্স অফিস বিশেষজ্ঞরা এর জন্য শুধু করোনাভাইরাসকে দায়ী করছেন না। অমোদ মেহরার বলছেন, ‘আপনি যদি বিগত বছরগুলোর দিকে নজর দেন, তাহলে দেখবেন বছরের শুরুর দিকে সালমান, শাহরুখ ও অক্ষয় কুমার এমন তারকাদের ছবি ছিলো। কিন্ত এ বছর নতুন তারকাদের ছবি বেশি এসেছে। তাই স্বাভাবিকভাবে বক্স অফিস কালেকশন কম থাকবে।’
আরেক বক্স অফিস ব্যবসা বিশেষজ্ঞ গিরিশ জোহর বছরের শুরুতে টুইট করেছিলেন এবার প্রথমার্থে ৪০০-৫০০ কোটি কম ব্যবসা হবে। তিনি বলছেন, শুধু করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা কম হয়েছে তা বললে ভুল বলা হবে। কারণ এ ব্যাপারে আমি বছরের শুরুতেই ভবিষ্যতবাণী করেছিলাম। ব্যবসা কম হওয়ার অন্যতম কারণ ভালো কনটেন্ট না থাকা। আপনি যদি দেখেন ‘বাঘী ৩’ প্রথম সপ্তাহে বেশ ভালো সূচনা করলেও দ্বিতীয় সপ্তাহে গিয়ে বড় সড় ধাক্কা খায়। এর পিছনে করোনা তো আছেই সাথে কনটেন্ট ভালো না হওয়াও দায়ী। ‘এবিসিডি থ্রিডি’ ভালো শুরুর পর ব্যবসা পরে গেছে একমাত্র কনটেন্টের কারণে।
তবে জনপ্রিয় ব্যবসা বিশেষজ্ঞ তারান আদর্শ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ‘করোনা মহামারী’ কাটিয়ে সিনেমা হলগুলো চালু হলে এ অবস্থা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘মানুষ হয়তো প্রথম দিকে ভয়ে হলে যাবে না। তখন কিছুটা সমস্যা হবে। কিন্তু আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে আস্তার জায়গাটা তৈরি করতে হবে।’