Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অনলাইনে হবে কানের বাণিজ্যিক বিভাগ


১৮ এপ্রিল ২০২০ ২০:২১

বিশ্ব চলচ্চিত্রপ্রেমীরা জানেন এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসব ফিজিক্যালি আয়োজন করা হচ্ছে না। এর জন্য বেছে খোঁজা হচ্ছে বিকল্প কোন পন্থা। সবার জল্পনা ছিলো এবারের আয়োজনটি হবে অনলাইনে। তারই কিছুটা আভাস মিললো উৎসবটির বাণিজ্যিক বিভাগ ‘মার্শে দ্যু ফিল্ম’ অনলাইনে আয়োজনের ঘোষণার মধ্য দিয়ে।

কান চলচ্চিত্র উৎসব কর্তৃপক্ষ ১৭ এপ্রিল এক বিবৃতিতে এ খবরটি জানায়।  তারা জানায়, অনলাইনে ‘মার্শে দ্যু ফিল্ম’ অনুষ্ঠিত হবে ২২ থেকে ২৬ জুন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবের পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ বছরের দ্বিতীয় ভাগে কী অপেক্ষা করছে তা কেউ জানে না। ২০২০ সালে কানসহ বড় আকারের কোনও চলচ্চিত্র উৎসব করা সম্ভব হবে কিনা তাও জানা নেই আমাদের। তাই নতুন পন্থায় মানিয়ে নিচ্ছি আমরা। এর প্রথম পদক্ষেপ মার্শে দ্যু ফিল্ম অনলাইন। বিশ্বের অনেক পেশাদার চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও কর্মীর অংশগ্রহণ ও পরামর্শ নিয়ে নতুন ধরনের এই মার্কেট চালু করা হচ্ছে।’

নতুন পদক্ষেপ প্রসঙ্গে কানের মার্শে বিভাগের নির্বাহী পরিচালক জেরোম পেইয়ার্ড বলেন, ‘চলমান কঠিন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের একটি বৈশ্বিক মঞ্চ প্রয়োজন। গত সপ্তাহে আমরা বিশ্বব্যাপী পরিবেশকদের মধ্যে একটি জরিপ পরিচালনা করে দেখেছি, তাদের ৮০ শতাংশই অনলাইন মার্কেটের ব্যাপারে আগ্রহী। আর ৬৬ শতাংশ পরিবেশকেরই যেকোনও পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র এবং পোস্ট-প্রোডাকশন ও চিত্রনাট্য তৈরির পর্যায়ে থাকা ছবি কেনার সামর্থ্য আছে।’

কান উৎসব চলাকালীন মার্শে দ্যু ফিল্মে সাধারণত যেসব কার্যক্রম হয়ে থাকে, সেগুলোই অনলাইন মার্কেটে থাকবে বলে জানা গেছে। নতুন ছবি ও নির্মাণাধীন কাজ ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরার জন্য সেলস এজেন্টরা পাবেন ভার্চুয়াল বুথ।

ভার্চুয়াল প্যাভিলিয়নের মাধ্যমে প্রতিটি দেশ তাদের চলচ্চিত্র, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও শুটিং লোকেশনের কথা জানাতে এবং প্রযোজকদের সহায়তা প্রদান ও বৈঠক আয়োজন করতে পারবেন। এটি সাধারণত কানে ভিলেজ ইন্টারন্যাশনাল বিভাগে দেখা যায়।

মার্শে দ্যু ফিল্মের নেটওয়ার্কিং অ্যাপ ‘ম্যাচ অ্যান্ড মিট’-এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা অধিবেশনে অংশগ্রহণের অনুরোধ কিংবা বৈঠক আয়োজন করতে পারেন, অনলাইনে এটি ভিডিও কলে সম্পন্ন হবে।

প্যালে ডে ফেস্টিভ্যালের নিচতলার জায়গাটায় নির্দিষ্ট ফি দিয়ে যে কেউ তাদের ছবি দেখাতে পারেন। প্রযোজনা সংস্থাগুলোর সুযোগ থাকে বুথ বা টেবিল ভাড়া নিয়ে কাজ তুলে ধরার।

পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র কিংবা পোস্ট প্রোডাকশনে থাকা ছবি ও প্রজেক্ট উপস্থাপন করা যাবে অনলাইন স্ক্রিনিংসে। এজন্য থাকবে ১৫টি ভার্চুয়াল প্রেক্ষাগৃহ।

কান ডকস, কান নেক্সট, প্রডিউচার্স নেটওয়ার্ক, গোজ টু কান, ফ্যান্টাস্টিক সেভেনসহ বেশকিছু কর্মসূচি ও সম্মেলন থাকবে। এগুলোতে উদ্ভাবক, প্রযোজক, সেলস এজেন্ট ছাড়াও সুরকার, গ্রন্থ প্রকাশকরা বৈঠক করতে পারবেন। এছাড়া ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটের মাধ্যমে কান এক্সআর উপভোগের সুযোগ তো থাকছেই।
আগামী ২৯ মে’র মধ্যে মার্শে দ্যু ফিল্ম অনলাইনের অ্যাক্রেডিটেশন পাওয়া যাবে ৯৫ ইউরোতে। এরপর কিনতে হলে লাগবে ১৯৫ ইউরো। এর সঙ্গে থাকবে চলচ্চিত্র নির্ভর অনলাইন নেটওয়ার্ক সিনান্দোর বছরব্যাপী সাবস্ক্রিপশন। ২০০৩ সালে মার্শে দ্যু ফিল্মে এটি চালু হয়।

কান চলচ্চিত্র উৎসব মার্শে দ্যু ফিল্ম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর