না ফেরার দেশে সুরকার, সংগীত পরিচালক ও সংগীতশিল্পী আজাদ রহমান
১৬ মে ২০২০ ১৯:৫২
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত সুরকার, সংগীত পরিচালক ও সংগীত শিল্পী আজাদ রহমান। আজ (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৪টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শ্যামলীর একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
আজাদ রহমানের মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। শুক্রবার (১৫ মে) তার অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি’।
বাংলাদেশে আজাদ রহমান প্রথম সংগীত পরিচালনা করেন বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘আগন্তুক’ ছবিতে। এর আগে ষাটের দশকের শুরুতে কলকাতার ‘মিস প্রিয়ংবদা’ চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন আজাদ রহমান। ‘বাদী থেকে বেগম’, ‘এপার ওপার’, ‘পাগলা রাজা’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘আমার সংসার’, ‘মায়ার সংসার’, ‘দস্যু বনহুর’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘মাসুদ রানা’সহ বহু ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি।
আজাদ রহমানের সুর ও তার নিজের কণ্ঠে গাওয়া ‘ভালবাসার মূল্য কত’, ডুমুরের ফুল চলচ্চিত্রের ‘কারো মনে ভক্তি মায়ে’, দস্যু বনহুর চলচ্চিত্রের ‘ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়’ গানগুলো সত্তরের দশকে জনপ্রিয়তা লাভ করে। এছাড়াও তিনি ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’-এর মত কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানের সুর করেছিলেন।
১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খেয়ালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। বাংলা একাডেমি থেকে দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে আজাদ রহমানের লেখা সংগীতবিষয়ক বই ‘বাংলা খেয়াল’। এ ছাড়াও তিনি ‘গোপন কথা’ শিরোনামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
চলচ্চিত্রে সংগীত শিল্পী হিসেবে একবার, সংগীত পরিচালক হিসেবে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন আজাদ রহমান।