Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অনুমতি থাকলেও শুটিং করতে চান না অধিকাংশ পরিচালক


৮ জুন ২০২০ ২০:৩৩

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি ৫ জুন থেকে শুটিং শুরু করার অনুমতি দিয়েছিলো। কিন্তু অনুমতি দেওয়ার তিন দিন পর শুরু হয়েছে শামীম আহমেদ রনির ‘বিক্ষোভ’র শুটিং। তবে বেশিরভাগ পরিচালকই এ সময়ে ছবির শুটিং করতে চাইছেন না।

প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার জানামতে বিক্ষোভ, কোভিড-নাইন্টিন ইন বাংলাদেশ ছবিগুলো শুটিং শুরু করেছে বা করতে যাচ্ছে। এসব ছবি আগে নিবন্ধিত বা অর্ধেক শুটিং করা ছিলো। সম্পূর্ণ নতুন কোন ছবি নিবন্ধন নেয় নি এবং শুটিং শুরু করেনি।’

বিজ্ঞাপন

পরিচালক সমিতিও সারাবাংলাকে জানিয়েছে নতুন কোন ছবি নাম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি। এফডিসির পিআরও হিমাদ্রি বড়ুয়া জানান, ‘বিক্ষোভ’ ছাড়া অন্য কোন ছবির প্রযোজক এফডিসিতে শুটিং ফ্লোর চেয়ে আবেদন করেননি আজ (সোমবার, ৮ জুন) পর্যন্ত। শুধু একটি বিজ্ঞাপনের ইউনিট আবেদন করেছে বলে জানি।

করোনাভাইরাসের কারণে এ সময়ে সকল শিল্পী ও কলা কুশলীর করোনা টেস্ট করিয়ে শুটিং শুরু করতে হবে। এর খরচ বহন করতে হবে প্রযোজককে। তাছাড়া ইউনিটে যত সম্ভব লোক কম রাখতে হবে। এমন নির্দেশনা দেওয়া আছে প্রযোজক সমিতি থেকে।

সৈকত নাসির লকডাউনের আগে শেষ করেন ‘ক্যাসিনো’র শুটিং। মার্চে করার কথা ছিলো ‘আকবর’র শুটিং। তবে তিনি সহসাই ছবিটির শুটিং শুরু করতে চান না। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমত শুটিং আসলে এত বাধা ধরা নিয়ম মেনে করা যায় না। আর আকবর অনেক বড় বাজেটের ছবি। স্বল্প পরিসরে কাজ করা সম্ভব হবে না। আমরা সব কিছু যখন স্বাভাবিক হবে তখনই ছবিটির শুটিং করবো।’

সৈকত নাসির এ মাসেই শুটিং করবেন ‘ত্রিভুজ’র। তাহলে এ ছবির শুটিং কীভাবে করবেন? ‘আমাদের শিল্পীরা বাসা থেকে শুটিং করবেন। তবে তা একটা বিশেষ পদ্ধতিতে। যার কারণে ওই ছবি নিয়ে সমস্যা হবে না’—বললেন সৈকত।

বিজ্ঞাপন

‘ত্রিভুজ’র আরেক পরিচালক দীপংকর দীপনও সৈকতের কথায় সায় দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের গল্পের চিত্রনাট্য এমনভাবে করছি যাতে স্বল্প পরিসরে বর্তমান নিয়ম মেনে শুটিং করা যায়।

‘অপারেশন সুন্দরবন’র ঢাকায় তিন দিনের শুটিং বাকি দীপনের। কিন্তু তিনি তা করতে চান না। কারণ স্বল্প পরিসরে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ শুট করা অসম্ভব। এমনটাই বললেন দীপন।

পরিচালক সমিতির আন্তর্জাতিক ও তথ্য প্রযুক্তি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান মানিক শুধু স্বল্প পরিসরের কথা বলছেন না। তিনি বলেন, ‘যেহেতু সিনেমা হলগুলো প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ। করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকায় অনেক ধরেই নিয়েছেন আগামী ছয় মাসের আগে হলগুলো খুলবে। তাই তাদের চিন্তা এমন যে সময় তো আছেই। এখন ছবি বানিয়ে কী করবো, পরে বানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পরিচালক কেনো শিল্পীরাও খুব একটা রাজি না এ সময়ে শুটিং করতে। এমনকি অনেক শিল্পী ডাবিং করতেও চাইছে না। তাছাড়া প্রযোজক সমিতির নির্দেশনা অনুযায়ী শুটিং ইউনিটের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে প্রযোজক-পরিচালককে তার দায় নিতে হবে। যার কারণেও অনেকে ঝুঁকি নিয়ে শুটিং করতে চাইছেন না।’

চলচ্চিত্রের শুটিং দীপংকর দীপন বিক্ষোভ মোস্তাফিজুর রহমা মানিক সৈকত নাসির

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর