শতবর্ষ আগের ‘যুদ্ধজ্বর ও রবীন্দ্রনাথ’
১৩ জুন ২০২০ ১২:৩৫
করোনার ভয়াল গ্রাসে আজ পুরো পৃথিবী আক্রান্ত। কিভাবে এই মহামারী থেকে গোটা বিশ্ব রক্ষা পাবে, তা এখনও কারোরই জানা নেই। তবে মহামারীর সঙ্গে এমন লড়াই মানুষের প্রথম নয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরপরই ভয়াবহ ‘স্প্যানিশ ফ্লু’র মতো মহামারী প্রাণ কেড়েছিল বহু মানুষের। সেদিনের সেই মহামারীর নাম ছিল- ‘যুদ্ধজ্বর’। ১৯১৪ সাল থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত সেই ভয়াবহ মহামারীর সময় মানুষের সেবায় ব্রতী হয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সম্প্রতি সেই বিষয়টি নিয়েই বাচিক শিল্পী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের অভিনব উদ্যোগ ‘যুদ্ধজ্বর ও রবীন্দ্রনাথ’। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ভিডিওটি।
‘যুদ্ধজ্বর ও রবীন্দ্রনাথ’-এ উঠে এসেছে রবি ঠাকুরের রচনা, গান, সমকালীন পরিস্থিতির কথা। ভিডিওটির সমগ্র বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন অভিনেত্রী চৈতালি দাশগুপ্ত। এই আয়োজন নিয়ে চৈতালী দাশগুপ্ত জানালেন, ‘এটার বিষয় ভাবনা সুজয়ের (সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়)। এটা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমি বিভিন্ন বইপত্র ঘেঁটেছি। সেই বইগুলি থেকেই বিভিন্ন তথ্য আমি পাই। সেসময় রবীন্দ্রনাথ ঠিক কী করেছেন, তখনকার ভারতীয় উপমহাদেশের অবস্থাই বা কি হয়েছিল সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ১৯১৮-র ওই সময় রবীন্দ্রনাথ মোট ১৫টি গান লিখেছিলেন, তার মধ্যে তিনটে গান ব্যবহার করেছি। এটা লিখতে গিয়ে অন্য এক রবীন্দ্রনাথকে আমি আবিস্কার করেছি, যিনি হলেন সেবক রবীন্দ্রনাথ।’
চৈতালী দাশগুপ্ত আরও উল্লেখ করলেন, ‘যুদ্ধজ্বর রোগটা সেসময়ও এসেছিল বিদেশ থেকে। এবারও তাই। মাঝে ১০২ বছরের তফাৎ। এখনও যেমন সেই অর্থে কোনও ঔষুধ বের হয়নি, বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিষেধক ব্যবহার হচ্ছে। সেই সময়ও রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এমনই বিভিন্ন প্রতিষেধকের ব্যবহার করেছিলেন।’
‘যুদ্ধজ্বর ও রবীন্দ্রনাথ’র ভাষ্যপাঠে রয়েছেন চৈতালি দাশগুপ্ত ও সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও অংশ নিয়েছেন রাজা দাশগুপ্ত, বিদীপ্তা চক্রবর্তী ও সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়’র পরিকল্পনায় এটি সম্পাদনা করেছেন উত্তরণ দে।
চৈতালি দাশগুপ্ত বিদীপ্তা চক্রবর্তী যুদ্ধজ্বর ও রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়