প্রেরণা শাস্ত্রীয় নৃত্যোৎসবে বাংলাদেশের মৌমিতা রায় জয়া
২৮ জুন ২০২০ ১৯:২৬
‘প্রেরণা শাস্ত্রীয় নৃত্যোৎসব’- উপমহাদেশের নৃত্যাঙ্গনে সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া এই উৎসব বেশ আলোচিত। বিগত তিন বছর ধরে আয়োজিত হচ্ছে এই ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যসন্ধ্যা’র। আয়োজক কোলকাতার নৃত্য প্রতিষ্ঠান ‘মালাশ্রি’। যার কর্নধার শ্রীমতি অর্পিতা ভেঙ্কটেশ ও সম্পিতা চ্যাটার্জি।
এ বছর ছিল এর ৪র্থ তম আয়োজন। কিন্তু করোনার গ্রাসে থেমে গেছে সবকিছুই। কোন অনুষ্ঠান বা উৎসবের আয়োজন করা বা দেখা সম্ভব হয়ে উঠছে না কয়েক মাসেরও বেশি সময় ধরে। তাই এবার ‘প্রেরণা শাস্ত্রীয় নৃত্যোৎসব ২০২০’র আয়োজনটি করা হয়েছে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। যদিও শাস্ত্রীয় নৃত্যসন্ধ্যা গুলোতে নৃত্যশিল্পীরা প্রেক্ষাগৃহেই নৃত্য প্রদর্শন করতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কিন্তু বর্তমান এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেক শিল্পীরা যার যার বাড়িতে থেকে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে অংশ নিচ্ছেন এই উৎসবে।
সোমবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যে সাড়ে ৬টায় ‘প্রেরণা শাস্ত্রীয় নৃত্যোৎসব’র এই আয়োজনে কত্থক নৃত্য পরিবেশন করবে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল কত্থক নৃত্যশিল্পী মৌমিতা রায় জয়া। একই দিনে এই আয়োজনে আরো থাকবেন বাংলাদেশের নৃত্যব্যাক্তিত্ব লুবনা মারিয়াম ও ভারতের লাইলী বাসু। ‘মালাশ্রি (malashree)’র ফেসবুক পেইজ থেকে প্রচারিত হবে এই আয়োজন।
মৌমিতা রায় জয়া বাংলাদেশের একজন প্রতিভাবান কত্থক নৃত্যশিল্পী। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে রংপুরের প্রয়াত রাকিবুল আলম রানার কাছে নৃত্যের হাতেখড়ি হয় তার। পরবর্তীতে পলাশ হুদা ও আজাদ রহমান সহ ভারতের লখনৌর মোনালিসার রায়ের অধীনে আইজিসিআর থেকে কথক নৃত্যের কোর্স শেষ করেন। মৌমিতা সমাজবিজ্ঞানে তার পড়াশুনা শেষ করে ২০১৩ সালে ভারত সরকারের (আইসিসিআর) বৃত্তি নিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাস্ত্রীয় নৃত্য কথক’র উপর প্রথমমান ফলাফল নিয়ে তার অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন।
মৌমিতা ভারতের কত্থক নৃত্যগুরু শ্রীঅসিমবন্ধু ভট্টাচার্য’র পরিচালনায় ‘উপাসনা সেন্টার ফর ডান্স’র একজন নিয়মিত ছাত্রী। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে গুরু শ্রীঅসিমবন্ধু ভট্টাচার্যের কাছে কথক নৃত্যের তালিম নিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন নৃত্যউৎসবে।
‘প্রেরণা শাস্ত্রীয় নৃত্যোৎসব’র এই আয়োজনে শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশনা ছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষের বিভিন্ন গুনী নৃত্যশিল্পীরা নৃত্যের বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোচনা করেন। গুরু সুস্মিতা মিশ্র, সুজাতা মহাপাত্র, শ্রীঅসীমবন্ধু ভট্টাচার্য, ড. মহুয়া মুখার্জি, ড. মাধুরী মজুমদার, বিম্বাবতী দেবী, রিনা জানা, প্রিয়দর্শিনী ঘোষ ও ড. পুষ্পিতা মুখার্জিসহ নৃত্যব্যক্তিত্বরা জানাচ্ছেন তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা- যা নৃত্যশিল্পীদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
কত্থক নৃত্য নৃত্যশিল্পী প্রেরণা শাস্ত্রীয় নৃত্যোৎসব মৌমিতা রায় জয়া লুবনা মারিয়াম শ্রীঅসীমবন্ধু ভট্টাচার্য