আমাকে তো পাবেনই, সঙ্গে একজন প্রিয় শিল্পীকেও…
১৮ জুলাই ২০২০ ০০:০৯
সময়ের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী সিঁথি সাহা। গানে ভিন্নতার পাশাপাশি তার মৌলিক গান নিয়েও বেশ জনপ্রিয় তিনি। মূলত সংগীতশিল্পী হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। আবার কখনো কখনো তাকে দেখা গেছে টিভি অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা হিসেবেও। তবে সেটা নিয়মিত নয়। মাঝে দীর্ঘ বিরতি দিয়ে আবারও উপস্থাপিকা হিসেবে মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ একটি অনুষ্ঠানে দেখা মিলছে তার।
প্রতি শনিবার রাত ১১ টায় ‘সিঁথি’র অতিথি’ নামে ধারাবাহিক এই অনুষ্ঠানে প্রতি পর্বে অতিথি হিসেবে থাকবেন একজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। যিনি সিঁথির সঙ্গে আড্ডায় করোনাকালীন জীবনযাত্রা, গানের বাইরে ব্যক্তিজীবন ও পারিবারিক জীবন এবং নতুন ভাবনার কথা বলবেন। আবার আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে শোনাবেন প্রিয় কিছু গান।
মাছরাঙা টেলিভিশনের পর্দায় এ অনুষ্ঠানটির প্রচার শুরু হচ্ছে ১৮ জুলাই (শনিবার) থেকে। প্রথম পর্বের অতিথি বাপ্পা মজুমদার। ঘরবন্দি সময়ে এমন একটি আয়োজন ও এর অভিজ্ঞতা নিয়ে সিঁথি সাহা কথা বললেন সারাবাংলা’র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আশীষ সেনগুপ্ত’র সঙ্গে। তারই বিস্তারিত সারাবাংলা’র পাঠকদের জন্য…
• প্রসঙ্গঃ সিঁথির অতিথি _
এটা মূলত আমারই পরিকল্পনা ছিল। ভাবছিলাম যে এধরনের একটা আয়োজন করা গেলে বেশ ভালো হয়। মাছরাঙা টেলিভিশনের সহযোগিতায় আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রোগ্রামটা শুরু করতে পারছি। প্রোডিউসার হিসেবে পেলাম সাইফুল ইসলামকে এবং গ্রন্থনায় রিয়াজ শিমুলকে। এতে দুই বাংলার সংগীতশিল্পীরাই থাকবেন। প্রোগ্রামে যিনি অতিথি হিসেবে থাকবেন তার গান দিয়েই শুরু হবে সেদিনের আয়োজন। যেহেতু প্রোগ্রামটা আগে থেকেই রেকর্ড করে নেওয়া, তাই শ্রোতাদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়েই সাজানো হবে।
• ছয় বছর পর আবার উপস্থাপনায় _
আমি আসলে গান ছাড়া অন্য কোন কিছুই পারি না। একটা সময় আমি অভিনয় এবং উপস্থাপনা করেছিলাম। কিন্তু ওগুলো একেবারেই উপভোগ করতে পারি নি। টিভি চ্যানেল গুলোতে বেশ কয়েকটা লাইভ উপস্থাপনা করেছি। কিন্তু ভালো লাগেনি। বুঝতে পারলাম- এ কাজ আসলে আমার জন্য না। আর যদি করতেই হয় সেটা হতে হবে আমারই মতো, আমি যেভাবে করতে চাই। এই আয়োজনটা আমার প্রত্যাশা অনুযায়ীই হচ্ছে। আর এটাকে আমার উপস্থাপনা বলা যাবে না। কারণ আমি গানের মানুষ। গানই আমার জীবন, আমার বসবাস। এই অনুষ্ঠানে আমি শুধু গান নিয়েই কথা বলবো, নিজেও গাইব। তাই এক অন্যরকম ভালো লাগা থেকেই এটা করছি।
• এই আয়োজন করতে গিয়ে _
ঘরে বসেই এত আয়োজন করা অনেক কঠিন একটা ব্যাপার। প্রথমে আমাদের পরিকল্পনা ছিল যে, আমি মাছরাঙার স্টুডিওতে বসে অনুষ্ঠানটা করবো। পরে করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ায় সে পরিকল্পনাটা থেকে আমরা সরে আসি। এরপর আমার বাসাতেই সেট বানানো হয়েছে। এতে বেশ কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দিয়েছিল, সেটাকেও আমরা ওভারকাম করার চেষ্টা করেছি। কারণ এই নিউ নরমাল টাইমটাকে মেনে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চেয়েছি। তারপরও প্রথম প্রচারের পর যদি মনে হয় আরও কিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন। সেটা অবশ্যই করবো। এই আয়োজনে আমরা আন্তরিক ভাবেই চেষ্টা করেছি, দর্শকদের একেবারে ভিন্ন কিছু দেয়ার। পুরো কাজটাই একটা টীমওয়ার্ক। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও আমরা প্রত্যেকেই আমাদের সর্বোচ্চটাই দিয়েছি। আশা করছি ভালো কিছুই দাঁড়াচ্ছে।
• প্রথম পর্বেই বাপ্পা মজুমদার _
এখনও পর্যন্ত উনার সঙ্গে আমার গান করার সৌভাগ্য হয়নি। আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই উনি আমার আইডল। বলা যায় সেই স্কুল জীবন থেকেই উনার গানের ভীষণ ভক্ত আমি। তাই শুরুতেই, মানে প্রথম পর্বটাতেই গান নিয়ে উনার সঙ্গেই বসতে চেয়েছিলাম। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, বাপ্পা মজুমদার মানেই সবার প্রিয় একজন শিল্পী। সবমহলেই জনপ্রিয় একজন আন্তরিক মানুষ। তাই আমাদের পরিকল্পনাতেই ছিল যে, প্রথম পর্বে আমরা এমন একজন শিল্পীকে অতিথি করবো, যিনি সবার কাছেই সমানভাবে গ্রহণযোগ্য। আর সে গ্রহণযোগ্যতাটা একমাত্র বাপ্পা মজুমদারেরই আছে। তাই তাকেই আমরা প্রথম পর্বের অতিথি করেছি।
• প্রত্যাশা _
মাঝখানে বেশ কয়েকবছর আমি দেশের বাইরে ছিলাম। যার ফলে গানের জগতে একটু পিছিয়ে পরেছিলাম। এরপর বেশ উদ্যমে কাজ শুরু করলাম। আবার কিছুদিন যেতে না যেতেই করোনাকাল চলে আসলো। আর করোনাকালিন দুঃসময়ে গান নিয়ে আমার এই প্রচেষ্টা। তাই সবশেষে বলতে চাই- এটা একান্তই আমার নিজের প্রোগ্রাম। নামটাও আমাকে নিয়ে- ‘সিঁথির অতিথি’। এটার মধ্যে আমার সমস্ত ভালো লাগা, ভালোবাসা জড়িয়ে আছে। আমি মন থেকেই ভালোবেসে এ কাজটা করার চেষ্টা করেছি। তাই সারাবাংলা’র মাধ্যমে পাঠকদের কাছে আমার অনুরোধ, ‘আপনারা আমার এই অনুষ্ঠানটা দেখবেন’। আমাকে যারা ভালোবাসেন, তারা তো আমাকে পাবেনই, সঙ্গে বোনাস হিসেবে একজন প্রিয় শিল্পীকেও…।