সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনায় অনুরাগীদের কাছে ‘খলনায়িকা’ হিসেবেই আখ্যায়িত হচ্ছেন সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ‘অ্যারেস্ট রিয়া’ হ্যাশট্যাগ। আর এসবের জন্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যম গুলোকেই দায়ী করেছেন রিয়া। বললেন, সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় মিডিয়া অযথাই তাকে নিশানা করছে।
এদিকে সুশান্তের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে ‘সিবিআই’র তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। কিন্তু সুশান্তের মৃত্যুর পরপরই তিনি নিজেই ‘সিবিআই’ তদন্ত চেয়েছিলেন। সুশান্তের মৃত্যুর কয়েকদিন পরই ইনস্টাগ্রাম মেসেজে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করে ‘সিবিআই’ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন রিয়া। কিন্তু ‘সিবিআই’ মামলা হাতে নেওয়ার পর সেই রিয়াই ‘সিবিআই’ ও ‘ইডি’র এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্য রিয়ার! ‘সিবিআই’ ও ‘ইডি’র তদন্তের বিরোধিতা করেও লাভ হল না! মেনে নিতে হল সুশান্তের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে ‘সিবিআই’র তদন্ত। সুশান্তের মামলার তদন্ত ‘সিবিআই’য়ের হাতে তুলে দিলে কোনও আপত্তি নেই, বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে লিখিত দিলেন রিয়া চক্রবর্তী। তবে সংশ্লিষ্ট মামলায় বিহার পুলিশের ‘নাক গলানো’ একেবারেই বেআইনি বলে দাবি করছেন রিয়ার আইনজীবী।
ভারতীয় গণমাধ্যম সুত্রে জানা যায়, সুশান্তের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে ‘সিবিআই’র তদন্ত চেয়ে বিহার সরকারের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের সলিসিটর জেনারেল দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে সুপারিশ জানায়। অন্যদিকে, রিয়া চক্রবর্তীও সুশান্তের বাবার দায়ের করা মামলা পাটনা থেকে মুম্বাই নিয়ে আসার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ১১ আগস্ট সেই মামলার শুনানি থাকলেও রায়দান স্থগিত রাখে দেশের শীর্ষ আদালত। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেক পক্ষকেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে বৃহস্পতিবার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) প্রত্যেকেই লিখিত দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টে দেয়া লিখিত আবেদনে সুশান্তের বাবা কৃষ্ণকুমার সিং কোর্টকে জানান যে, মুম্বাই পুলিশের উপর কোনওরকম ভরসা নেই তাদের। খুব শীঘ্রই যেন ‘সিবিআই’কে তদন্ত শুরুর ছাড়পত্র দেওয়া হয়, সেই আবেদন জানান তিনি। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টকে বিহার পুলিসও লিখিত জবাব দিয়েছে। বিহার সরকারের আইনজীবীর কথায়, বিহার পুলিশের কর্মকর্তা বিনয় তিওয়ারিকে তদন্তের জন্য গত ২ অগস্ট মুম্বাই পাঠানো হয়। কিন্তু কোয়ারেন্টাইনের নামে তাকে আটক করে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এমন কি বিহার থেকে যে ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা গিয়েছিল, তাদেরও তদন্তে বাধা দেওয়া হয়। তাই, এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে সুশান্ত মামলার তদন্তে শুরুর নির্দেশ দেওয়াই উচিত বলেই মনে করছেন তারা।