অসুস্থ ইরফানের আমৃত্যু পাশে ছিলেন একমাত্র বন্ধু সঞ্জয়
২০ আগস্ট ২০২০ ১৮:১৪
দুজন দুজনকে চিনলেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের গভীরতাটা ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘নক আউট’ ছবিতে এক সঙ্গে কাজ করার সময় থেকেই। সেই ছবিতে সঞ্জয় দত্ত অভিনয় করেছিলেন বীর বিজয় সিংয়ের চরিত্রে। আর ইরফান খান টনি খোসলা ওরফে বাচ্চু ভাইয়ের ভূমিকায়। তারপর থেকেই তাদের দু’জনের সেই বন্ধুত্ব আমৃত্যু থেকে গিয়েছে। ইরফান চলে গেছেন না ফেরার দেশে। এবার মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বন্ধু সঞ্জয় দত্ত। চতুর্থ পর্যায়ে ক্যানসারে আক্রান্ত সঞ্জয় দত্তের বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ১০ শতাংশ। মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা। এমন পরিস্থিতিতে বাবার বন্ধুর জন্য প্রার্থনা করলেন ইরফান-পুত্র ‘বাবিল’।
মরণব্যাধি ক্যান্সারে গত ২৯ এপ্রিল মারা গিয়েছেন বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা ইরফান খান। মাত্র ৫৪ বছরে মারা যাওয়া এ অভিনেতার মৃত্যুতে পুরো বলিউড ধমকে যায়। বাবার মৃত্যুর শোক এখনও ভুলে উঠতে পারেননি ইরফানের একমাত্র সন্তান ‘বাবিল’। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার নানা স্মৃতি একাধিকবার শেয়ার করেছেন। এবার লিখলেন বাবার বন্ধুর সম্পর্কে। ইন্সটাগ্রামে ইরফান ও সঞ্জয়ের একটি পুরনো ছবি শেয়ার করে বাবিল জানিয়েছেন, ইরফানের নিউরো এন্ডোক্রিন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পেরে সঞ্জয় দত্তই সেই প্রথম মানুষগুলোর একজন, যিনি সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। যেকোনও পরিস্থিতিতে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই কথা রেখেও ছিলেন সঞ্জয়। ইরফান খানের মৃত্যুর পরেও স্তম্ভের মতো পাশে দাঁড়িয়েছেন বরাবর। এখন সঞ্জয় নিজে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। পাশাপাশি এই লড়াইয়ে তার পাশে থেকে গুজব না ছড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন বাবিল।
৮ আগস্ট (শনিবার) হঠাত্ করে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো হাসপাতাল সূত্রে খবর প্রকাশ করেছে, ৬১ বছর বয়সী এই অভিনেতার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়েছে। সেদিন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন স্টেজ থ্রি-তে ধরা পড়েছে এই অভিনেতার ক্যানসার। কিন্তু পরবর্তিতে চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘তৃতীয় নয়, চতুর্থ পর্যায়ে তার ক্যানসার’।
ইরফান খান ও তার ছেলে বাবিল
ফুসফুসে ক্যানসারের কথা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য আমেরিকার হাসপাতালে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। কিন্তু মুম্বাই হামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে আমেরিকার ভিসা দিতে রাজি হয়নি আমেরিকার দুতাবাস। তাই পরবর্তিতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু করোনার কারণে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করানোও কঠিন হয়ে উঠেছে। তাই সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে আপাতত কোকিলাবেন হাসপাতালেই চিকিৎসা করাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ভর্তি হয়েছেন মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে।