‘স্বার্থসিদ্ধির জন্যই সুশান্তের মৃত্যুকে ব্যবহার করছেন কঙ্গনা’
২২ আগস্ট ২০২০ ১২:০৩
প্রথম থেকেই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুরহস্য নিয়ে সরব বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। সুশান্তের মৃত্যুতে বলিউডের নেপোটিজম, ফেভারিটজম এবং নানা অন্ধকার দিক তুলে একের পর এক মন্তব্য করেন তিনি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, কিভাবে সুশান্তকে ইন্ডাস্ট্রিতে একঘরে করে রাখা হয়েছিল। কাজ দেওয়া হত না। এছাড়াও বারবার তিনি আদিত্য চোপড়া, করণ জোহর, মহেশ ভাটের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। সুশান্তের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্ত দাবী করেছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলা এখন ‘সিবিআই’র হাতে। এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত।
‘সিবিআই’র হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর একে প্রথম পদক্ষেপে জয় বলেই মনে করছেন কঙ্গনা। একটি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে আবার তিনি সুশান্তের মৃত্যুর পেছনে সেই নেপোটিজম, ফেভারিটজমের তত্ত্ব আবার তুলে ধরেন। পাশাপাশি বলিউড ইন্ডাস্ট্রির ফাঁক-ফোকর গুলো নিয়েও মন্তব্য করেন। কিন্তু সুশান্তদের পারিবারিক আইনজীবী বিকাশ সিং কঙ্গনার অভিযোগকে পুরোপুরি খারিজ করে দিয়ে তার কথাকে গুরুত্বহীন বলে দাবি করেছেন।
কঙ্গনা রানাওয়াত সুশান্তের মৃত্যুর পেছনে যেসব কারণ তুলে ধরেছেন, সে কারণ গুলোকেও সমর্থন দেয়নি সুশান্তের পরিবার। পাটনা থানায় রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন সেখানে নেপোটিজম বা ইন্ডাস্ট্রির উপর সরাসরি কোনও অভিযোগ জানায়নি সুশান্তের বাবা কেকে সিং। সুশান্তকে জোর করে কাজ দেওয়া হয়নি এইরকম কোন উল্লেখ নেই সেই এফআইআর-এ।
সম্প্রতি সুশান্তদের পারিবারিক আইনজীবী বিকাশ সিং কঙ্গনার প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘উনি (কঙ্গনা) নিজের স্বার্থসিদ্ধি, ব্যক্তিগত সমস্যা মেটাতে এবং অন্যদের প্রতি আক্রমণ করতেই সুশান্তের মৃত্যুকে ঢাল হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কঙ্গনা নিজের কাজ গোছানোর তালে রয়েছেন। এই মৃত্য নিয়ে সুশান্তের পরিবারের যে সব দাবী- তা সবই এফআইআরে লেখা রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সুশান্তের বাবা পাটনার রাজীবনগর থানায় রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, রিয়া এবং তার পরিবার সুশান্তের টাকা আত্মসাৎ করে তাকে নিজের পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। এমন কি মোটা অঙ্কের টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়েও নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তকে মানসিক অবসাদের ঔষধের ওভারডোজ দেওয়ারও অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। জানা গেছে, সুশান্তের পরিবার থেকে করা যাবতীয় অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করছে ইডি। এরপর সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুরহস্য তদন্তের দায়িত্ব পায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিবিআই’। বুধবার (১৯ আগস্ট) শুনানি শেষে এই রায় দেয় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত ‘সুপ্রিম কোর্ট’।