প্রিয়ভাষিণীর তিনটি ইচ্ছে এবং ফেরদৌসের দুঃখ
১০ মার্চ ২০১৮ ১৬:৫৪
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট ।।
বন্ধুত্বে বয়স কোনও বাঁধা না। অভিনেতা ফেরদৌস এবং ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর সম্পর্কটা সেরকমই ছিলো। তারা ছিলেন খুব ভালো বন্ধু। ফেরদৌস এবং ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী দুজন দুজনকে বেশ পছন্দ করতেন, সঙ্গও উপভোগ করতেন একে অপরের। আড্ডা-গল্পের ছলে তাই ফেরদৌসের কাছে তিনটি ইচ্ছে পূরণের আবদার করেছিলেন প্রিয়ভাষিণী। যার দুটো ইচ্ছে পূরণ করতে না পারার দুঃখের কথা জানালেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই নায়ক।
প্রিয় ভাস্কর ও মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ফেরদৌসকে তিনটি ইচ্ছের কথা বলেছিলেন। তার মধ্যে ছিলো ফেরদৌসের একটি সিনেমায় অভিনয় করা, মডেলিং করা এবং ফেরদৌসকে একটি সাক্ষাৎকার দেয়া। মডেলিংয়ের ইচ্ছেটি পূরণ হলেও অন্য দুটো ইচ্ছে ‘বাকি’ রেখেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন সবার প্রিয় প্রিয়ভাষিণী।
এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে ফেরদৌস বলেন, ‘প্রিয়ভাষিণী আমাকে বলেছিলেন আমার তিনটা ইচ্ছে আছে, একটা হচ্ছে তোর সঙ্গে আমি মডেল হবো, একটা সিনেমা করবো আর তুই আমার একটা ইন্টারভিউ নিবি।’
ফেরদৌস আরো বলেন, ‘আমি প্রিয়ভাষিণীর মডেলিংয়ের ইচ্ছাটা পূরণ করেতে পেরেছি। আমরা একটা ফটোশুট করেছি। কিন্তু ফিল্মের ব্যপারটাতে আমার মনে হচ্ছিল সিনেমায় আমি হয়তো তাকে প্রপার মূল্যায়ন করতে পারব না। আর ইন্টারভিউটা নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম যে আমরা দুজন গল্প করবো এবং সেটাই ভিডিও করা হবে। দূর্ভাগ্যবশত সেটা করতে পারিনি। আসলে আমাদের ভাবনার মধ্যেও ছিলো না এত দ্রুত তিনি চলে যাবেন।’
প্রিয়ভাষিণীর যে দিকটা ফেরদৌসের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো তা হলো তার অসম্ভব রকমের দেশপ্রেম। দেশকে ভীষণ ভালোবাসতেন তিনি। ফেরদৌস বলেন, ‘এত মেধাবী একজন মানুষ যার হৃদয়জুড়ে বাংলাদেশ, দেশের জন্য তারচেয়ে বেশি ভালোবাসা আর কার আছে আমি জানি না! সেইরকম একটা মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন!’
‘হঠাৎ বৃষ্টি’ খ্যাত অভিনেতা ফেরদৌস বলেন, ‘আমি চাইবো উত্তরসুরীরা যেন তার কাজকে ভুলে না যায়। তিনি সমসময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং আছেন। আমাদের উচিত তার কাজগুলোকে সংরক্ষণ করা। তার কাজগুলো দিয়ে যদি একটা উদ্যান, বিমানবন্দর সাজানো যায় তবে তার কাজগুলো আজীবন থাকবে।’
ছবি: অভিনেতা ফেরদৌসের সৌজন্যে
এই সংক্রান্ত ভিডিও স্টোরিটি দেখতে চোখ রাখুন সারাবাংলায়।
সারাবাংলা/টিএস/পিএম