করোনা আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন কে এস ফিরোজ
৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:১০
করোনায় আক্রান্ত হয়ে অভিনেতা কে এস ফিরোজ মারা গিয়েছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি ছিলেন। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা ২০ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার বড় মেয়ে নাদিয়া ফিরোজ জানান, কে এস ফিরোজের নিউমোনিয়াও ছিল। ফলে ফুসফুসে ইনফেকশন হয়। বুধবার বাদ জোহর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
কে এস ফিরোজের পুরো নাম খন্দকার শহীদ উদ্দিন ফিরোজ। তিনি ১৯৪৬ সালের ৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে তাদের আদি নিবাস হলেও ফিরোজের জন্ম ঢাকার লালবাগে। তার বাবার নাম এ জে এম সাইদুর রহমান। তবে এলাকার মানুষ তাঁর বাবাকে উজির মিয়া নামেই চিনতেন। কে এস ফিরোজের মা রাবেয়া খাতুন। ফিরোজ ১৯৭৪ সালের ১ নভেম্বর বিয়ে করেন। তিনি স্ত্রী মাধবী ফিরোজ এবং তিন মেয়ে রেখে গেছেন।
অভিনয়ে আসার আগে তার কর্মজীবন শুরু করেন সেনাবাহিনীতে ১৯৬৭ সালে। এরপর ১৯৭৭ সালে মেজর হিসেবে অবসর নেন।
নাট্যদল ‘থিয়েটার’–এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয়ে কে এস ফিরোজের পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, ‘কিং লিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ নাটকে।
সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের নাট্যরূপে কামাল উদ্দিন নীলুর নির্দেশনায় ‘কিং লিয়ার’ নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন কে এস ফিরোজ। টিভিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন দিলারা জামানের স্বামী শফিউজ্জামানের রচনায় ও জামান আলী খানের প্রযোজনায় ‘দীপ তবুও জ্বলে’ নাটকে। এতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন ডলি ইব্রাহীম।
কে এস ফিরোজ প্রথম ‘লাওয়ারিশ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর বহুদিন বিরতি নেন চলচ্চিত্র থেকে। আবু সাইয়ীদের ‘শঙ্খনাদ’, ‘বাঁশি’, মুরাদ পারভেজের ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’তে অভিনয় করেন। টিভিতে তাঁর প্রথম আলোচিত নাটক জিয়া আনসারী প্রযোজিত ‘প্রতিশ্রুতি’।