Thursday 16 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিউটি নিয়েই আসছে ‘বিউটি সার্কাস’


১২ মার্চ ২০১৮ ১৭:২১ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৮ ১৭:৫৯

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

যে বিউটি তথা জয়া আহসানের পায়ের তলায় ছিলো গোটা দুনিয়া, সেই দুনিয়া বিমুখ হয়েছে তার। খুন হয়েছে প্রিয় খিলারি চার্লি, পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সার্কাস। স্মৃতির টুকরো বয়ে নিয়ে গাড়ীর বহর চলে যাচ্ছে দূরদেশ। ভাঙ্গনের বেদনা হয়তো স্পর্শ করেছে আকাশকেও, মাঝরাত্রিতে তাই অঝোরে কাঁদছে সে। বৃষ্টিতে ভিজে ট্রাকের বহরের সামনে এসে দাঁড়ায় রঙলাল তথা এবিএম সুমন। বিউটি তাকে বলে, ‘জাদুকাটা নদীতে আমার খুব ডুব দিতে ইচ্ছে করছে, রঙলাল!’ রঙলাল তাকে আশ্বস্ত করে, তবুও রাতের অন্ধকারে বিউটির এই আকাঙ্ক্ষাকে মনে হয় জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়ার অসহায় আর্তনাদ!

বিজ্ঞাপন

এই গল্প ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমার। মাহমুদ দিদার পরিচালিত এই সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ প্রায় শেষ। বড় দৃশ্য বলতে ছিলো এই একটিই! সেটিরও শুটিং হয়ে গেল মানিকগঞ্জের সিংড়া ব্রিজের দুপাশের রাস্তায়। সেদিন মাঝরাতে বিশাল বহর নিয়ে দৃশ্যটি ধারণ করেছেন দিদার। বেদনার দৃশ্য বলে অনেক পরিশ্রম ও খরচা করে বানিয়েছেন বৃষ্টির সেট। বিউটি সার্কাসের নির্মাতা অবশ্য মনে করছেন এই দৃশ্যে পয়সা উসুল হয়ে গেছে তার, কারণ দৃশ্যটিতে নিজেদের সেরাটা দিয়ে অভিনয় করেছেন ছবির প্রধান দুই চরিত্র জয়া আহসান ও এবিএম সুমন।

সারাবাংলাকে মাহমুদ দিদার বলেন, ‘আমরা রাতভর বৃষ্টির শুটিং করেছি। জয়া ও সুমনকে বলতে গেলে সারারাতই ভিজতে হয়েছে। এতো পরিশ্রমের পরও কাজটা ভালোভাবে শেষ করতে পারায় বিউটি সার্কাসের পুরো টিম বেশ আনন্দিত।’

‘বিউটি সার্কাস’ এর দৃশ্যধারণের গল্প যতটা সহজে বলে ফেলা গেল, মাহমুদ দিদারের জন্য কাজটা মোটেও ততোটা সহজ ছিলো না। এর কারণ অর্থাভাব! সরকারী অনুদান মিললেও এই ছবির আয়োজনের তুলনায় তা ছিলো অপ্রতুল। ফলে মাঝখানে অনেকদিন বন্ধ ছিলো ছবিটির নির্মাণ কাজ। এই সময়ে অনেক চেনা-জানা মানুষও এগিয়ে আসেনি তাকে সাহায্য করতে। যদিও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের বিক্রয় ও বিপনন পরিচালক ইবনে হাসান খান ও সতীর্থ নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন ঠিকই দুহাত বাড়িয়ে সহায়তা করেছেন দিদারকে।

বিজ্ঞাপন

মাহমুদ দিদার বলেন, ‘ছবিটি শেষ করতে ইবনে হাসান খান অর্থ সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। আবু শাহেদ ইমন আমাকে সার্বক্ষণিক উৎসাহ দিয়েছেন। এছাড়াও জয়া আহসান মানবিক জায়গা থেকে সহায়তা না করলে এই ছবির কাজ শেষ করা আমার জন্য বেশ কঠিন হয়ে যেত।’

যাই হোক, দুঃখের গল্প আপাতত বাদ, কারণ ক্যামেরার চোখ দিয়ে যে জনপদের গল্প বলতে চেয়েছেন মাহমুদ দিদার, পোস্ট প্রডাকশনের কাজ শেষে এ বছরেই হয়তো সেই গল্প দেখতে পাবেন সিনেমাপ্রেমীরা। পরিচালক এটা নিশ্চিত করেছেন যে, কোন কারণে চলতি বছরে ছবিটি দেখাতে না পারলে, ২০১৮ সালের শুরুতে অবশ্যই মুক্তি দেয়া হবে বিউটি সার্কাস।

সার্কাসকে কেন্দ্র করে এক নারীর টিকে থাকার গল্প ‘বিউটি সার্কাস’। জয়া-সুমন ছাড়াও ছবিটিতে আরো অভিনয় করেছেন দুইবাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস, তৌকীর আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ প্রমুখ। ছবিটি সহপ্রযোজনা করছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মস।

ছবি: আশীষ সেনগুপ্ত

সারাবাংলা/টিএস/পিএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর