এদেশের চলচ্চিত্রে দীর্ঘদিন ধরে দাপট ছিলো মধ্যবয়সী নায়কদের। একজন পঞ্চাশোর্ধ নায়ক অভিনয় করছেন ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রের চরিত্রে—এমন দৃশ্য দেখতে দেখতে দর্শক বিরক্ত। তখনই বহু তারকার আবিষ্কারক পরিচালক এতেহশাম নিয়ে এলেন শাবনাজ ও নাঈমকে। তাদেরকে জুটি করে বানালেন ‘চাঁদনী’ ছবিটি সুপারহিট। ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি পেলো নতুন জুটি।
১৯৯১ সালে ‘চাঁদনী’ মুক্তির সময় থেকে গুঞ্জন ছিলো শাবনাজ-নাঈমের মধ্যে প্রেম চলছে। প্রথমে অস্বীকার করলেও একটা সময়ে তারা স্বীকার করে নেন ভালোবাসার কথা। দুজন বিয়ে করেন ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর। তাদের দুজনের সংসার জীবনের ২৬ বছর পূর্ণ হলো।
নানা কারণে এ জুটি চলচ্চিত্র থেকে সরে যান। নাঈম ব্যস্ত ব্যবসা নিয়ে আর শাবনাজ সংসার নিয়ে। তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
আগের মতই সুন্দরভাবে জীবনটা চলছে তাদের। শাবনাজ বলেন, ‘এ করোনাকালে বলবো অনেক ভালো আছি। সন্তানদের সঙ্গে বাসায় সময় কাটাচ্ছি। ঘরে রান্নাবান্না, খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। আলাদা করে বিবাহবার্ষিকীর কোন আয়োজন নেই।’
শাবনাজ-নাঈম জুটি মোট ২১টি ছবি করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে ‘জিদ’, ‘লাভ’, ‘চোখে চোখে’, ‘অনুতপ্ত’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘সোনিয়া’, ‘টাকার অহংকার’, ‘সাক্ষাৎ’ ও ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’।