৮৫ বছর বয়সেও চ্যাম্পিয়নের মতোই লড়ছেন সৌমিত্র
৮ নভেম্বর ২০২০ ১১:৫২
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। করোনাকে জয় করলেও এখনও উন্নতির বিশেষ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। বেলভিউ হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছে, বর্ষীয়ান অভিনেতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও উন্নতির তেমন কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাতে বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেওয়া মেডিক্যাল বুলেটিনে ডা. অরিন্দম কর জানালেন, ‘সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ফুসফুস ভালভাবে কাজ করছে। ভেন্টিলেশন সাপোর্টের অনেকটাই কম প্রয়োজন হচ্ছে। তবে উন্নতির বিশেষ লক্ষণ দেখা যায়নি। আগের মতোই রয়েছেন। লিভারও ঠিকঠাক কাজ করছে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা এখন স্বাভাবিক। প্লেটলেট কাউন্টও স্বাভাবিক আছে। অবস্থা আগের তুলনায় অনেকটাই ভাল। শেষ ৪৮ ঘণ্টায় জ্বর আসেনি। সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণে। আপাতত অ্যান্টি-বায়োটিক দেওয়া বন্ধও করা গিয়েছে। তবে কিছু অ্যান্টি-বায়োটিক তার কিডনির উপর খানিকটা প্রভাব ফেলছে। তাই কিডনির সমস্যাটা রয়েই গিয়েছে। অল্টারনেটিভ ডায়ালিলিসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
প্লাজমাফেরেসিসের কথা ভাবা হচ্ছে। তার পরিবারও এই প্রক্রিয়ার জন্য রাজি। তবে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আরও খানিকটা আলোচনার পর এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁর এমন শারীরিক অবস্থায় আদৌও প্লাজমাফেরেসিস সম্ভব কি না, তা নিয়ে সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টা দেখার পরই বিষয়টি ঠিক করা হবে বলে জানালেন ডা. অরিন্দম কর।
তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ডা. অরিন্দম কর বললেন, ‘৮৫ বছরের এক ব্যক্তির থেকে আর কতখানি আশা করা যায়। তবে এই বয়সেও চ্যাম্পিয়নের মতোই লড়ছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। সকলেই তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে তার করোনা পরীক্ষা করানো হয়। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রিপোর্টে কোভিড পজিটিভ আসে কিংবদন্তি এই অভিনেতার। এরপরই কলকাতার বেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দেয়া হয় প্লাজমা থেরাপি। এরপর তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সেইসঙ্গে চিকিৎসাতেও সাড়া দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু আচমকাই তার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ে।